
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)তালিকাভূক্ত খাতগুলোর মধ্যে মুনাফার দিক থেকে চমক দেখিয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। অন্যদিকে ধ্স নেমেছে ব্যাংকিং খাতে। বিদায়ী ২০১৩ সালে ওষুধ খাতে আয় বেড়েছে ২৭ শতাংশ। ব্যাংকিংয়ে তা ৪৭ শতাংশ কমেছে।
বিদায়ী বছরের প্রথম নয় মাসের আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ রিপোর্ট তৈরি করেছে ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেড। উল্লেখ, ডিসেম্বরে বেশিরভাগ কোম্পানির হিসাব বছর শেষ হলেও তাদের আর্থিক প্রতিবেদন পেতে বেশ সময় লাগবে। কারণ বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন হতে হয় নিরীক্ষিত। আর এ কাজের জন্য বেশ সময় প্রয়োজন হয়।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে,বিদায়ী বছরের প্রথম নয় মাসে ওষুধ খাতের কোম্পানিগুলো মুনাফা করেছে আট হাজার নয়শকোটি টাকা।আগের বছরে যার পরিমাণ ছিল সাত হাজার কোটি টাকা।মুনাফা বেড়েছে এক হাজার নয়শ কোটি টাকা বা ২৭ দশমিক এক শতাংশ।
অন্যদিকে বিদায়ী বছরের নয় মাসে ব্যাংকিং খাতের মুনাফা হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা।আগের বছর ২০১২ সালে যার পরিমাণ ৩০ হাজার পাঁচশ কোটি টাকা।এ হিসাবে সমাপ্ত বছরে এ খাতের মুনাফা কমেছে ১৩ হাজার পাঁচশ কোটি টাকা বা ৪৭ দশমিক ছয় শতাংশ।
মুনাফা বাড়ার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সিমেন্ট খাত।আলোচিত বছরে এ খাতের মুনাফা বেড়েছে ১৩ দশমিক দুই শতাংশ।বিদায়ী বছরের নয় মাসে এ খাতের মুনাফা হয়েছে তিন হাজার কোটি টাকা।আগের বছরে যার পরিমাণ ছিল দুই হাজার সাতশ কোটি টাকা।এ হিসাবে বিদায়ী বছরে এ খাতের মুনাফা বেড়েছে তিনশ কোটি টাকা।তৃতীয় অবস্থানে থাকা জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে বিদায়ী বছরে মুনাফা হয়েছে ১৮ হাজার পাঁচশ কোটি টাকা।আগের বছরে যার পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার পাঁচশ কোটি টাকা।এ হিসাবে এসময়ের মধ্যে এ খাতের মুনাফা বেড়েছে এক হাজার কোটি টাকা বা পাঁচ দশমিক নয় শতাংশ।
মুনাফা কমার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে টেলিযোগাযোগ।বিদায়ী বছরে এ খাতের মুনাফা হয়েছে ১১হাজার দুইশ কোটি টাকা।আগের বছরে এর পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ছয়শ কোটি টাকা।এ হিসাবে বিদায়ী বছরে এ খাতের মুনাফা কমেছে ১৭ দশমিক দুই শতাংশ বা দুই হাজার চারশ কোটি টাকা।এর পরই রয়েছে ব্যাংক বর্হিভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান।বিদায়ী বছরে এ খাতের মুনাফা হয়েছে ছয় হাজার দুইশ কোটি টাকা।আগের বছরে যার পরিমাণ ছিল ছয় হাজার চারশ কোটি টাকা।এ হিসাবে বিদায়ী বছরের নয় মাসে এ খাতের মুনাফা কমেছে দুইশ কোটি টাকা বা তিন দশমিক এক শতাংশ।
জিইউ