
ভৈরবের রামশংকরপুরের মাছিমপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে গতকাল বুধবার সংঘর্ষের ঘটনায় সজীব আহমেদ নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ ঘটনাকে ঘিরে শতাধিক বাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। লুট করা হয়েছে মূল্যবান আসবাবপত্রসহ নগদ টাকা-স্বর্ণালংকার। আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কমপক্ষে ২০টিরও বেশি বাড়ি, দোকানপাট ও খড়ের গাদা। এ সময় সড়কে চলাচলকারী ১০টিরও বেশি ইজিবাইক ভাংচুর করা হয় বলে জানা যায়। হামলাকারীদের ভয়ে গ্রামের অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন অন্যত্র।
এলাকাবাসী জানায়, সজীব নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিপক্ষ সাদ্দাম মিয়ার লোকজন পালিয়ে গেলে পুলিশের উপস্থিতিতেই সজীবের নিজ গ্রাম পলতাকান্দা ও কালিপুরসহ আশেপাশের কয়েক’শ লোক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভাংচুর, লুটপাট ও আগুন লাগাতে থাকে। এ সময় নারীদের দেহ থেকেও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে জানায় তারা। গোয়াল থেকে লুটে নেয় ৪০/৪৫টি গরু-ছাগল। লুটপাট ও আগুন দেয় ১০/১৫টি দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। পরে সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে ছিটকে পড়ে হামলাকারীরা।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে আরেক দফায় ৬টি হিন্দু বসতিসহ ১০/১২টি ঘরে ভাংচুর ও আগুন দেয় হামলাকারীরা। লুটে নেয় ঘরের জিনিপত্র। পরে ভৈরব থেকে দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়, বাচ্চু মিয়া ও সাদ্দামের বাড়ির লোকজনের মাঝে সংঘর্ষ হলেও, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে পুরো মাছিমপুর গ্রামে। হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সব কিছু হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই এখন পথের ভিখারি বলে জানায় তারা। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নিরুত্তাপ ভূমিকা এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দিতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।