সঞ্চয়পত্রের বিক্রি ১১ শতাংশ বেড়েছে

Savings_Certificate

Savings_Certificateনভেম্বর মাসে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি বেড়েছে।এ মাসে ৬৭০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা মূল্যের  বিভিন্ন ধরণের সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে।যা আগের মাসের চেয়ে ১১ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেশি। তবে সেপ্টেম্বরের তুলনায় ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ কম। জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সঞ্চয় পরিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী,অক্টোবরে বিভিন্ন ধরণের সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয় ৬০১ কোটি ৪২ লাখ টাকার।আর সেপ্টেম্বরে বিক্রি হয়েছিলো ৭৮০ কোটি ৭০ লাখ টাকা। নভেম্বর মাসে অক্টোবরে তুলনায় মোট সঞ্চয়পত্র বিক্রি বেড়েছে ৬৯ কোটি ১১ লাখ টাকা। আর সেপ্টেম্বরের তুলনায় কম আছে ১১০ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

তবে চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ (জুলাই-নভেম্বর)মাসে মোট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৩৬৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা। বিক্রিত সঞ্চয়পত্রের পরিমাণ গত অর্থবছরের পুরো সময়ের (১২ মাস)তিন গুণেরও বেশি। গত ২০১২-১৩ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল ৭৭২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।আর ২০১১-১২ অর্থবছরে মোট ৪৭৯ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল।

জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। এ হিসেবে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৬৮ শতাংশই পূরণ হয়েছে। তবে ২০১২-১৩ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।বিক্রি কম হওয়ায় পরে সেই লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়।তবে সে লক্ষ্যও পূরণ হয়নি।

জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরের হালনাগাদ পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে,জুলাই-নভেম্বর সময়ে যেসব সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে তার ৮০ শতাংশই পরিবার সঞ্চয়পত্র।১৫ শতাংশ পেনশনার সঞ্চয়পত্র। বাকি ৫ শতাংশ অন্যান্য সঞ্চয়পত্র।

পরিদপ্তর সূত্র জানায়,একটি সঞ্চয়পত্র বন্ধ করে দেয়া মানে হলো-নতুন করে ওই সঞ্চয়পত্র আর বিক্রি করা হবে না।তবে যারা আগেই কিনে রেখেছেন,তারা নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত নির্ধারিত হারে সুদ পাবেন।

বর্তমানে পরিবার সঞ্চয়পত্রের সুদের হারেই সবচেয়ে বেশি,সাড়ে ১৩ শতাংশের মতো। নারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার অংশ হিসেবে সরকার এই সঞ্চয়পত্রটি চালু করে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড.সালেহ উদ্দিন আহমেদ অর্থসূচককে বলেন,অনেক দিন থেকেই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ। বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে যাচ্ছে না। ফলে ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় তারা আমানতের সুদহার কমিয়ে দিচ্ছে।এ কারণে সাধারণ মানুষ টাকা ব্যাংকে রাখার চেয়ে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করছে।

তিনি আরও বলেন,সঞ্চয় পত্রের বিনিয়োগের কোন ঝুঁকি নেই তাই স্বল্প ও মধ্যম আয়ের লোকেরা এ খাতে বিনিয়োগ বেশি করে থাকে।

উল্লেখ্য,জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরের মাধ্যমে বর্তমানে পরিবার সঞ্চয়পত্র,প্রতিরক্ষা সঞ্চয়পত্র,পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র,ছয় মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়,তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়।