
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যতই আন্দোলন হোক, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কেউই ঠেকাতে পারবে না। খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে চান।
মঙ্গলবার বিকেলে পীরগঞ্জের টুকুরিয়া ইউনিয়নের তরফমৌজা হাই স্কুল মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় বাস্তবায়নের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা খুন ধর্ষণ অগ্নিসংযোগ করছে আমরা (মহাজোট সরকার) তাদের বিচার করছি। এরই মধ্যে একজনের ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে। বাকিদের রায়ও কার্যকর হবে।
বিরোধী দলের আন্দোলন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, একের পর এক হরতাল অবরোধ দিয়ে গরীবের পেটে লাথি মারছে। আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করছে। এটাই তাদের রাজনীতি। যুদ্ধাপরাধীদের মতো তাদেরও বিচার করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে উন্নয়ন হয়। আমরা পাঁচ বছরে দেশের প্রতিটি এলাকায় উন্নয়ন করেছি। আগামীতেও করব। নির্বাচনের পর জয়কে আপনাদের কাছে পাঠিয়ে দেব। সে আপনাদের সেবা করবে। রংপুরকে বিভাগ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। এখানে উন্নয়নের জন্য যা যা করা দরকার সবই হবে। এসময় তিনি ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে পীরগঞ্জ আসনে তাকে নৌকা প্রতীকে পুণরায় ভোট দেয়ার আহবান জানান।
এর আগে বেলা সাড়ে বারোটার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৈয়দপুর বিমানবন্দরে এসে পৌছলে তাকে স্থানীয় ও জেলা আওয়ামী লীগ ও জাতীয় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা জানান।
এরপর রংপুরে পূর্ব নির্ধারিত ২০ মিনিটের বিরতি যাত্রা বাতিল করে সরাসরি সড়কপথে পীরগঞ্জের উদ্দ্যেশে রওনা হন। সেখানে সময় সল্পতার কারণে নির্ধারিত পথসভা না করেই সরাসরি টুকুরিয়া ইউনিয়নের তরফমৌজা হাই স্কুল মাঠের জনসভায় অংশ নেন তিনি।