ফরিদপুরে নির্বাচনী আমেজ

ফরিদপুর ম্যাপআগামি ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সম্ভাব্য প্রর্থীদের প্রচার প্রচারণায় ফরিদপুর-৪ (সদরপুর-চরভদ্রাসন-ভাংগা) আসনে উৎসব মুখর পরিবেশ চলছে নির্বাচনী প্রচারণা।

ফরিদপুর জেলার চারটি আসনের ৩ টিতে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী থাকায় ওই আসনগুলোতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। ফলে নির্বাচনের প্রত্যাশায় থাকা ফরিদপুর-৪ আসনকে ঘিরে সকলের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ রয়েছে। এ আসনে তিনজন প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আনন্দে ভাসছে তিন লাখ ভোটার। গ্রাম-গঞ্জে গভীর রাত পর্যন্ত প্রার্থী ও প্রার্থীদের সমর্থকরা প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন।

ফরিদপুর-৪ আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী তিনজন প্রার্থীর মধ্যে আ’লীগ প্রার্থী দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ (নৌকা), বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও মাদারীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াছ আহমেদ চৌধুরীর পুত্র মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন (আনারস) ও জাতীয় পার্টি  (জেপি) প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোঃ জাকির হোসেন (বাইসাইকেল) রয়েছেন।

আ’লীগ প্রার্থী কাজী জাফর উল্লাহ, তার (কাজী জাফর উল্লাহ) স্ত্রী ও চাচা এ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পাঁচবার নির্বাচিত হয়েছেন। এ আসনটি আ’লীগের ভোট ব্যাংক হিসেবে খ্যাত।

বঙ্গবন্ধুর নাতি ও মাদারীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াছ আহমেদ চৌধুরীর পুত্র মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন) আনারস মার্কা নিয়ে শক্ত অবস্থানে রয়েছে।

আ’লীগের একটি অংশ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোয় আগামী নির্বাচনে এ আসনটি আওয়ামী লীগৈর হাতছাড়া হয়ে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সাধারণ ভোটাররা মন্তব্য করেছেন। এছাড়া তিনটি উপজেলার বেশিরভাগ যুবক শ্রেণির ভোটাররা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ঝুঁকে পড়েছে।

জানা গেছে, ৩টি উপজেলার ভাংগায় ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৭৮ জন ভোটার, চরভদ্রাসনে ৪৫ হাজার জন ভোটার ও সদরপুর উপজেলায় ১লাখ ৬ হাজার জন ভোটার রয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন) ৩টি উপজেলার আত্মীয়। তার বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচরে।

জানা গেছে, সাবেক ফরিদপুর-৪ ও ফরিদপুর-৫ আসন নিয়ে ফরিদপুর-৪ আসনটি পুনর্গঠিত হয়। স্বাধীনতার পর থেকে আসন ২ টি আওয়ামী দখলে রয়েছে।

এআর