
‘দিনে একটা আপেল খাও, ডাক্তারের কাছে যেতে হবে না’ পুষ্টিবিদদের কাছ থেকে এমন কথা আমরা আগেই শুনেছি, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আপেলের জুসেও কি একই গুণ থাকে? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে জানতে হবে আপেল জুসের ৬ টি উপকারিতার কথা।
১.হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়:
রক্তের চর্বির (কোলেস্টেরল) মাত্রা কমায় আপেল জুস। নিয়ন্ত্রণে রাখে ডায়াবেটিক রোগীর রক্তে সুগারের মাত্রা। ফলে কমে যায় হৃদরোগের ঝুঁকিও ।
২.খাদ্য পরিপাকের কাজ সহজ করে:
আপেল জুস লিভার ও কিডনি থেকে ক্ষতিকর বর্জ্য দূর করে লিভার ও কিডনিকে রাখে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। এছাড়া কিডনি ও লিভারের রোগ প্রতিরোধ করে আপনার পরিপাকের কাজকে আরও স্বচ্ছ ও সহজ করে দেয়।
৩.ওজন কমায়:
আপনি যদি অনিয়ন্ত্রিতভাবে মোটা হয়ে যান, শরীরে যদি অতিরিক্ত মেদ জমতে থাকে বা উচ্চতানুযায়ী আপনার ওজন বেড়ে যায় তবে নিয়মিত আপেল জুস খেলে আপনার শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমে যাবে। কারণ এটি সম্পুর্ণভাবে ফ্যাটমুক্ত বলে মনে করেন চিকিৎসাবিদরা।
৪.দেহে শক্তি বৃদ্ধি করে:
আপেল জুসে রয়েছে ভিটাইন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, এবং ভিটামিন কে। তাই এতসব উপাদান একই সঙ্গে আপেল জুসে থাকায় তা আপনার শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৫.স্মৃতিশক্তিকে প্রখর করে:
বিভিন্ন ধরণের গবেষণায় দেখা যায়, আপেল জুস খেলে বৃদ্ধ বয়সে কোন জিনিসকে আপনার ভুলে যাওয়ার প্রবণতাকে কমিয়ে দেয়। একই সঙ্গে এই জুস আপনার স্মৃতিশক্তিকে আরও বৃদ্ধি করে দেয়। ফলে মানুষ কোনো বিষয়কে দীর্ঘদিন মনে রাখতে পারে।
৬.দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে:
আপেল জুসে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ থাকে সেহেতু এটি মানুষের দৃষ্টিশক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে ভিটামিন এ চক্ষুরোগ মুক্তি দেয়।
সুত্র: http://timesofindia.indiatimes.com
এস আর/