
বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমেদক বীরবিক্রমকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বের হওয়ার পর গোয়েন্দা পুলিশতাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলন থেকে দলটির চলমান কর্মসূচি অব্যহত থাকবে বলে ঘোষণা দেন মেজর হাফিজ।
এ ঘটনার পর পর সাংবাদিকরা প্রেসক্লাবে অবস্থানরত পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের ঘিরে ধরেন। তারা মেজর হাফিজকে আটকের কারণ ও তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা জানতে চান। সাংবাদিকদের প্রশ্নবানে জর্জরিত হলেও তারা সুস্পষ্ট কোনো উত্তর দেননি।
এর আগে গতরাতে পুলিশের অনুমতি না মিললেও রোববার কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়ে তাতে খালেদা জিয়া উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন হাফিজ।
তবে খালেদা জিয়া বিকালে গুলশানের বাড়ি থেকে নামলেও পুলিশের বাধায় বের হতে না পেয়ে ফিরে যান। তবে কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।
রাজধানীজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক অবস্থানের মধ্যে রাজপথে নামতে পারেনি বিরোধী জোটের নেতা-কর্মীরা। এর মধ্যে মালিবাগে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন একজন।
সংবাদ সম্মেলনে হাফিজ বলেন, ‘পুলিশি বাধায় নয়া পল্টনে গণতন্ত্রের অভিযাত্রার যে সমাবেশটি হয়নি, তা সোমবার হবে। সকাল ১০টায় এই সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হবে। এতে নেতৃত্ব দেবেন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া।’
এছাড়া ৫ জানুয়ারির ভোট বাতিল না করা পর্যন্ত সারাদেশে মহানগর-জেলা-উপজেলায় রাজপথ-রেলপথ-নৌপথে ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মী ও পেশাজীবীরা অবস্থান নেবেন বলে জানান তিনি।
অবস্থান কর্মসূচি কিভাবে পালিত হবে- জানতে চাইলে হাফিজ বলেন, ‘এটি নতুন কোনো কর্মসূচি নয়। মহাত্মা গান্ধীজীর সত্যাগ্রহের মতো আমরা রাজপথ-রেলপথ-নৌপথে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানাব।’