
বিরোধী জোটের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট টান টান উত্তেজনার দিনে বেশ নাটকীয়তা দেখা গেছে পুঁজিবাজারে।রোববার দিনের বেশিরভাগ সময় মূল্য সূচক নিম্নমুখী থাকলেও শেষবেলায় এসে তা দারুণভাবে ঘুরে গেছে।দিন শেষে আগের দিনের চেয়ে প্রায় নয় পয়েন্ট উপরে স্থির হয়েছে ডিএসইএক্স।
তবে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও মূল্য সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন। রোববার ডিএসইতে ২৬৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়,যা আগের দিনের চেয়ে ২৮ ভাগ কম।আগের দিন ডিএসইতে ৩৬৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।রোববারের লেনদেন গত দু’মাসের মধ্যে সবনিম্ন।এর চেয়ে কম ২৪৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল গত ২৭ অক্টোবর।
গত মঙ্গলবার ১৮ দলীয় জোট রোববার রাজধানী অভিমুখে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা নামের কর্মসূচি ঘোষণা করে।এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ হওয়ার কথা।এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সরকারি দল আওয়ামীলীগ ও বিরোধী জোট মুখোমুখী অবস্থানে দাঁড়িয়ে যায়।এতে রাজধানীসহ সারাদেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিরোধী দলের কমসূচির মুখে আগের তিনদিন টানা দর পতন হয় পুঁজিবাজারে। রোববারও একই ধারায় লেনদেন শুরু হয়।লেনদেন শুরুর ২০ মিনিটের মধ্যে ডিএসইএক্স প্রায় ১৭ পয়েন্ট কমে যায়।বেলা একটা পর্যন্ত সূচক একই বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকে।তখন পর্যন্ত লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল আগের দিনের চেয়ে কম।বেলা নাগাদ দর হারানো শেয়ারগুলোর দর বাড়তে শুরু করে।তাতে মূল্য সূচকও হতে থাকে উর্ধমুখী।এ ধারা বজায় থাকে লেনদেনের শেষ সময় পর্যন্ত।
রোববার ডিএসইতে ২৮০ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়।এদের মধ্যে দাম বাড়ে ১২৭ টির,কমে ১২৪ টির দাম।বাকীগুলোর দাম ছিল অপরিবর্তিত।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে,বিরোধী জোটের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আতঙ্ক, রাজধানীতে গণপরিবহণ না থাকা ইত্যাদি কারণে ব্রোকারহাউজগুলোতে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি ছিল অনেক কম।আমাদের বিনিয়োগকারীদের বড় অংশই ওয়ার্কস্টেশনের সামনে লেনদেন করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।তাই ব্রোকারহাউজে তাদের উপিস্থিত কম থাকায় লেনদেনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।এছাড়া সংঘাতময় রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে যায় তা পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে অনেকে বিনিয়োগ করতে চায়।বতমানে সাইডলাইনে।তাই লেনদেন কমে গেছে।
অন্যদিকে দুপুর পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো গোলযোগ না হওয়ায় আতংক কিছুটা কমে আসতে থাকে।দিনের দ্ব্তিীয় ভাগের লেনদেনে এর প্রভাব পড়ে।এছাড়া এ সময় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিভিন্ন ব্যাংক শেয়ার কেনার পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে মূল্য ও সূচক উপরে উঠতে থাকে।