পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য কমিয়েছে ভারত

পেঁয়াজ

Onion_2আবারও পেঁয়াজ রপ্তানির জন্য বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন দর কমিয়েছে ভারত।এ দফায় দাম ৫৭ শতাংশ কমিয়ে প্রতি টন ১৫০ ডলার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শারদ পাওয়ারের বাড়িতে ক্রিসমাস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভারত রপ্তানি মূল্য কমানোয় বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম দ্রুত কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর প্রতি পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ৮০০ ডলার থেকে কমিয়ে ৩৫০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছিলো। এই নিয়ে চলতি মাসে দুইবার পেঁয়াজের রপ্তানি দাম কমালো ভারত। খবর দ্যা ইকোনোমিক টাইমস।

গত মঙ্গলবার একটি জনসভায় পাওয়ার কৃষকদেরকে পেয়াজের রপ্তানি দর কমানোর প্রতিশ্রুতি দেন। ওইদিন সন্ধ্যায় সভা আহবান করে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আসন্ন দিনগুলোতেও পেয়াজের রপ্তানি মুল্য নির্ধারণের পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। কৃষকদের লাভ নিশ্চিত করতে এবং রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে আগামি সোম বা মঙ্গলবার মূল্য নির্ধারণের পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে সভা হতে পারেও বলে জানা গেছে।

রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানি মূল্য প্রতি টনে ১৫০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করায় রপ্তানি বাড়তে পারে। প্রতিযোগী দেশ চিন এবং পাকিস্তানে এই দাম টন প্রতি ২০০ ডলার। অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর জন্য এই দাম নির্ধারিত হয়নি। বরং দেশজুড়ে পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের কারণেই এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ভারতে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেয়াজ ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রপ্তানিকারকরা রপ্তানির অন্যান্য সুবিধাগুলো পেঁয়াজের ক্ষেত্রে চালু করার দাবি জানিয়েছেন। পুনে ভিত্তিক সাংহার এক্সপোর্টস এর মালিক দানিশ শাহ বলেন,সরকারের উচিত ফোকাসড (focused) মার্কেট স্কিম এবং বিশেষ কৃষি প্রনোদনা সুবিধা চালু করা। খুচরা বাজারে পেঁয়াজের মূল্য কেজি প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় কারণে সরকার এইসব সুবিধা প্রত্যাহার করেছিল।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে দেশটিতে পেঁয়াজের দাম হু হু করে বাড়তে থাকে। দেশের বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকার রপ্তানি নিরুৱসাহিত করার পথ বেছে নেয়। বেঁধ দেওয়া হয় পেঁয়াজ রপ্তানির ন্যূনতম মূল্য। নভেম্বর মাসে এ মূল্য বাড়িয়ে প্রতিটন এক হাজার ১৫০ ডলার করা হয়।