পর্ষদ সভায় বহিরাগতদের উপস্থিতি, ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করল বিবি

balgladesh bank_147দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোর ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ শিথিল হয়ে পড়ছে। এ সুযোগে আইন লঙ্ঘনে বেপরোয়া হয়ে উঠছে অনেক ব্যাংক। ব্যাংক পরিচালনায় বাড়ছে পরিচালক ও উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডারদের হস্তেক্ষপ। তাদের প্রশ্রয়ে অনেক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভায় বহিরাগত ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকছেন। অন্যদিকে অনেক ব্যাংকের পরিচালকরা আইন লংঘন করে প্রাপ্য সুবিধার অতিরিক্ত সুবিধা নিচ্ছেন।

একটু বিলম্বে হলেও পর্ষদ সভায় বহিরাগতদের উপস্থিতির বিষয়টি ব্যাংকিং খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দেশের সব তফসিলি ব্যাংককে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পরিচালকদেরকে প্রাপ্য সুবিধার বাইরে অন্য কোনো সুবিধা না দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা গিয়েছে যে,কতিপয় ব্যাংকের পরিচালনা-পর্ষদ সভায় বহিরাগত ব্যক্তি,শেয়ারহোল্ডারসহ অনেক অসদস্য ব্যক্তি উপস্থিত থাকছেন। কিন্তু আইন অনুসারে ব্যাংকের পরিচালনা-পর্ষদের সভায় ব্যাংকের পরিচালকরা ছাড়া কেবল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সচিব উপস্থিত থাকতে পারেন।

তবে পর্ষদ বা পর্ষদের সহায়ক কমিটির আহ্বানে ব্যাংকের কোন কর্মকর্তা তাঁর সংশ্লিষ্ট কোন বিষয় উপস্থাপনকালে ওই সভায় উপস্থিত থাকতে পারবেন। কিন্তু কোনোভাবেই তা পূর্ণকালীন সময়ের জন্য নয়; শুধু ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা চলাকালীন সময়ের জন্য।

কোন পরিস্থিতিতেই কোন বহিরাগত ব্যক্তি বা শেয়ারহোল্ডার যাতে পরিচালনা-পর্ষদ ও পর্ষদের সহায়ক কমিটির সভায় উপস্থিত না থাকেন তা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে।

প্রজ্ঞানে আরও বলা হয়, কতিপয় ব্যাংক তাদের পরিচালকদের বিধি মোতাবেক প্রদেয় সম্মানীর অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধাও প্রদান করছে বলে জানা গিয়েছে। অথচ ব্যাংক-কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে,ব্যাংক-কোম্পানির কোন পরিচালক ব্যাংকের পরিচালনা-পর্ষদের সভায় অংশ নেওয়ার জন্য নির্ধারিত ফিস ব্যতীত অন্য কোন আর্থিক বা অন্য কোন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করবেন না।

ব্যাংক-কোম্পানি আইনের ওই ধারার বিধি-বিধান কঠোরভাবে পরিপালন নিশ্চিত করার জন্য প্রজ্ঞাপনে নির্দেশ দেওয়া হয়।