
আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে পুরোদমে মাঠে নেমে পড়েছেন প্রতিদ্বন্দী তিন প্রার্থী। নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত তরুণ ছাত্রনেতা আয়েন উদ্দিন, কলস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন বর্তমান সাংসদ ও জেলা আ’লীগের সভাপতি মেরাজ উদ্দীন মোল্লা এবং জাতীয় পার্টির শাহাবুদ্দিন বাচ্চু। যদিও প্রচারণায় নামতে দেখা যায় নি জাপা প্রার্থীকে।
জাপা প্রার্থীর প্রচারণা থেমে থাকলেও থেমে নেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী, কর্মী ও সমর্থকদের প্রচারণা। ডিজিটাল ব্যানার ও পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে মোহনপুরের পথঘাট। পিছিয়ে নেই কলস প্রতীকের প্রচার-প্রচারণাও। সবমিলিয়ে প্রার্থী তিন হলেও দ্বিমুখী লড়াই হবে বলে অভিমত জনসাধারণের।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। প্রার্থীদের পদচারণা বাড়ছে নির্বাচনী এলাকায়। তিন প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন আ’লীগ মনোনীত আয়েন উদ্দিন। তিনি প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন নৌকা মার্কা প্রতীক নিয়ে। ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা আয়েন উদ্দিনের রয়েছে অনেক খ্যাতি। এছাড়াও দলীয় মনোনীত প্রার্থী হিসেবে দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের অনেক আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন তিনি। এজন্য আ’লীগ দলীয় হাই কমান্ড মেনে তার পক্ষে মরিয়া হয়ে প্রচারণায় নেমেছেন স্থানীয় প্রথম সারির নেতাকর্মীরা। নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ থেকে শুরু করে চলছে কর্মী-সমর্থকদের গণসংযোগ। নিজ দলীয় প্রার্থীকে নির্বাচনে বিজয়ী করতে তাদের প্রচেষ্টার নেই কোনো কমতি।
উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ বলেন, ‘দলীয় মনোনীত প্রার্থী আয়েন উদ্দিনকে পবা উপজেলার মানুষ দলমত নির্বিশেষে সমর্থণ জানিয়েছে। এজন্য আয়েন উদ্দিনের সভা-সেমিনারে মানুষের ঢল নামছে। অন্যদিকে মোহনপুরের মানুষ হিসেবেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই ছাত্রনেতা। তাই এবারের নির্বাচনে এ আসনে নৌকা মার্কার বিজয় নিশ্চিত।’
অন্যদিকে, গত নির্বাচনে আ’লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া নির্বাচিত বর্তমান সাংসদ ও জেলা আ’লীগের সভাপতি মেরাজ উদ্দিন মোল্লাও পিছিয়ে নেই প্রচারণায়। এবারের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কলস প্রতীক নিয়ে প্রচারণায় নেমেছেন তিনি। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে তিনি মাঠে না থাকলেও প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণায় নেমেছেন। ডিজিটাল ব্যানার ও পোস্টার সাঁটানো, মাটির কলস টাঙানোসহ সমর্থকদের প্রচরণায় সরগরম হয়ে উঠতে শুরু হয়েছে নির্বাচনী মাঠ।
এদিকে, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ও জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন বাচ্চুকে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর থেকে মিছিল-মিটিং, সভা-সেমিনার করতে দেখা যায় নি। তার পক্ষে কোথাও মাইকিং বা পোস্টারিং করতেও দেখা যায় নি। নির্বাচনে জাপার অংশগ্রহণ নিয়ে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে সংশয় এখনও কাটে নি।
উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রউফ বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে লাঙল মার্কার সমর্থনে প্রচারণায় নামতে দেরি হলেও আমরা অচিরেই পোস্টার নিয়ে প্রচারণায় নামবো।’ এ আসনে লাঙল মার্কা প্রতীকের প্রার্থীর বিজয় হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।