
আগে মানুষ শুধু ধান আর আখ চাষ করতো। কিন্তু দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ফসল চাষ বিভিন্ন রূপ ধারণ করে। গত কয়েক বছর যাবৎ রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার কৃষকরা তুলা চাষে ব্যাপক আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ফলে দিন দিন তুলা চাষ বাড়ছে চারঘাটে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, চারঘাটে তিন জাতের তুলা চাষ করছে কৃষকরা। সিবি-৯, সিবি-১২ ও হাইব্রিড জাতের তুলা চাষ বেড়েছে। এর মধ্যে গত বছর সিবি-৯ জাতের প্রতিমণ তুলার দাম ছিল ২ হাজার ৪০০ টাকা, সিবি-১২ জাতের তুলা প্রতিমণ ২ হাজার ৬০০ ও হাইব্রিড জাতের তুলা প্রতিমণ ২ হাজার ৮০০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়েছিল। তবে কৃষকদের দাবি এবছর সব জাতের তুলার দাম গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেতে পারে। কারণ এবছর তুলার রং ও গুটি ভালো হয়েছে।
উপজেলার খোর্দ্দগোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক আবদুস ছাত্তার মিয়া জানান, আমি কখনো আখ ও ধান ছাড়া কোনো ফসলচাষ করতাম না। কিন্তু বর্তমানে আমি প্রায় তিন বিঘা জমিতে তুলাচাষ করেছি। অল্প পুঁজি আর স্বল্প পরিশ্রমে খুব সহজেই এই তুলাচাষে আয় করা সম্ভব।
তিনি বলেন, এভাবে তুলাচাষ অব্যাহত থাকলে তুলাচাষে ব্যাপক মুনাফা অর্জন করা সম্ভব। এজন্য দরকার সরকারি তুলা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারি।
উপজেলার মেরামতপুর গ্রামের কৃষক বাবুল আক্তার ববি জানান, তুলাচাষ সম্পর্কে তুলা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কোনো লোক কৃষকদের সঙ্গে পরামর্শ করলে এর চাষের পরিমান চারঘাটে অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।
চারঘাট উপজেলা তুলা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, চলতি বছর ১৭২ হেক্টর জমিতে তুলাচাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে তুলাচাষ বেড়েছে।
এ ব্যাপারে চারঘাট কটন ইউনিট অফিসার আবদুর কাদের বলেন, অন্যান্য ফসলের চেয়ে তুলাচাষে খরচ ও সময় কম লাগার কারণে তুলাচাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কেএফ/ এআর