পরমাণু সমৃদ্ধকরণ; চিন-পাকিস্তান সাড়ে ছয়’শ কোটি ডলারের চুক্তি

china-pakপাকিস্তানের করাচিতে একটি বৃহৎ পরমাণু শক্তি নির্মাণ প্রকল্পে ৬’শ ৫০ কোটি মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি করেছে চিন। এতে পরমাণু শক্তিতে চিনের সাথে তাদের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ গতমাসে প্রকল্পটির জন্য ৯’শ৫৯ কোটি মার্কিন ডলারের কথা বলেছিলেন কিন্তু কর্মকর্তারা এর কিছু ডিটেইল জানিয়েছিল। সে অনুযায়ী অর্থপ্রদান সম্বলিত সমস্ত নথিপত্র দেখে চিনের জাতীয় পরমানু কোঅপারেশন(সিএনএনসি) এই প্রকল্পের জন্য ৬’শ ৫০কোটি  মার্কিন ডলার দিতে রাজি হয়। তিনি বলেন, এই অর্থ  ১১‘শ মেগাওয়াটের আলাদা আলাদা দুইটি পরমানু শক্তি কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় করা হবে।

দেশটির সরকারি শক্তি কমিশনের দুই সদস্য এবং তিনটি সুত্র এই চুক্তির বিয়য়টি নিশ্চিত করেন। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি সিএনএনসি।

পাকিস্তানের বেসামরিক পরমাণু প্রোগ্রামের পরিচালক ও পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান আনসার পারভেজ জানান, এ অর্থের মাধ্যেমে দেশটি পরমানু শক্তি প্লান্টের ক্ষমতাকে পরিপুর্ন করতে পারবে বলে সম্পুণূভাবে আত্ববিশ্বাসী চিন।

এদিকে, এর চেয়ে বেশি অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে চিন এমন কথা উল্লেখ করে পারভেজ বলেন, ২০১৯ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। তিনি আরও জানান, পাকিস্তানে আজ পর্যন্ত যত পরমানু শক্তি প্লান্ট আছে তাদের সবগুলোর চেয়ে এই দুইটির প্লান্টের ধারণ ক্ষমতা অনেক বেশি হবে।

পাকিস্তানের পরমাণু শক্তি মন্ত্রণালয়ের দুইটি সুত্র জানিয়েছে, এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে চিন ২৫হাজার মার্কিন ডলারের ইন্সুরেন্স প্রিমিয়াম ছেড়ে দিয়েছে। তবে তারা এই প্রকল্প চুক্তিতে অর্থ দেওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

এই দীর্ঘমেয়াদী পরমাণু শক্তি প্লান্টে পাকিস্তান আশা করছে ২০৫০ সালের মধ্যে তারা ৪০হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুত উৎপাদন করতে পারবে।

উল্লেখ্য, পরমাণু শক্তিতে সমৃদ্ধ পাকিস্তান ও চিন একে অপরের বন্ধু দেশ । কিন্তু তাদের এ বন্ধন ভারতের জন্য উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র চিন-পাকিস্তান বিষয়ে বিতর্কে ভারতের সাথে পরমাণু সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।

পাকিস্তান চায় যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও একই ধরণের চুক্তি করতে কিন্তু এটা তাদের জন্য অনেক কঠিন। কারণ পাকিস্তানি পরমাণু বিজ্ঞানী আব্দুল কাদের খান পরমানু বিষয়ে সব কিছু উত্তর কোরিয়া, ইরান এবং ইরাকের সাথে সম্পর্ক করেই চলে আসছে।

পারভেজ আরও জানান, পাকিস্তানের প্রয়োজন পরমাণু শক্তি । এক্ষেত্রে ভারতর কোন প্রতিবন্ধকতা আমাদের থামাতে পারবে না।