প্রতিবন্ধী নারীদের কর্মসংস্থান বাড়াতে সহায়তা করবে বিজিএমইএ

protibondhi_pic 2দেশের প্রতিবন্ধী নারীদের সহায়তায় আরেক ধাপ এগিয়ে আসার কথা জানালো তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি বা বিজিএমইএ। সংস্থাটির সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজীম জানান, প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে আরও সহায়তা করা হবে। এজন্য তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলা হবে বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার দুপুরে বিজিএমইএ কার্যালয়ে ‘প্রতিবন্ধী নারীদের কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণে নিয়োগদাতা ও প্রাতিষ্ঠানিক ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এক কথা বলেন।

মতবিনিময় সভাটি জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম, এনএএসপিডি, অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটি আয়োজনে সহযোগিতা করেন, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ।

শহীদুল্লাহ আজীম বলেন, প্রশিক্ষিত প্রতিবন্দীদের ইতোমধ্যে পোশাক কারখানার মালিকরা বিভিন্ন বিভাগে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছে। তাতে কেয়া ও এবা গার্মেন্টসসহ অন্যান্য কারখানায় উল্লেখ যোগ্যভাবে তারা কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, যদি প্রতিটা কারখানায় অন্তত ৪ থেকে ৫ জন করে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয় তাতে ৪ হাজার কারখানাতে বড় সংখ্যক প্রতিবন্ধীর কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে বলে মানে করেন তিনি।

প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সবার সঙ্গে এনজিওগুলোকে আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। তাছাড়া সরকার, বিজিএমইএসহ সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে এসে প্রশিক্ষণে সহায়তা করার অনুরোধ জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহা পরিচালক আশরাফ হোসেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার টিভিইটি রিফর্ম প্রজেক্টের চিফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার আর্থার ই. শিয়ার্স, জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের মহাসচিব মিজানুর রহমান। তাছাড়া অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের নিবার্হী পরিচালক আলবার্ট মোল্লা, এনএএসপিডির মহাসচিব এম এ বাতেন ও রফিক জামান উপস্থিত ছিলেন।

আশরাফ হোসেইন বলেন, প্রতিবন্ধীদের জন্য আইন হওয়ায় আমরা এখন সেগুলো নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এতে সংশ্লিষ্টদের আরও এগিয়ে এসে কর্ম প্রক্রিয়া চালিয়ে নেওয়ার কথা বলেন তিনি।

প্রতিবন্ধীদের পক্ষ থেকে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আওতাধীন যে সমস্ত জেলা/ আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে সেখানে প্রতিবন্ধী নারীদের প্রশিক্ষণের আওতায় এনে কর্মসংস্থানের  ব্যবস্থা করতে দাবি জানানো হয়।