পণ্য খালাসে বিলম্বের জরিমানা কমছে

Chittagong Port

Chittagong Portহরতাল-অবরোধে চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে পড়া কন্টেনারের উপর আরোপিত বিলম্বে ছাড়জনিত জরিমানা কমছে। চলতি সপ্তাহে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) একটি প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছেছে। মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তবে জরিমানা কি হারে কমবে সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। আর বন্দর কর্তৃপক্ষও সরাসরি কোনো জরিমানা মওকুফ করতে পারবে না। তাদেরকে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে। সংস্থাটিকে কেস টু কেস ভিত্তিতে জরিমানা মওকুফ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব প্রস্তাবের ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত নেবে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে গত তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট হরতাল-অবরোধের মত কঠোর কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে। এতে স্বাভাবিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে।অন্যদিকে অবরোধের নামে যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের কারণে ভয়ে বন্দর থেকে পণ্য ছাড় করাচ্ছেন না আমদানিকারকরা।দিনের পর দিন পণ্যবোঝাই কন্টেনার বন্দরে পড়ে থাকছে।

বিধি অনুসারে,প্রথম পাঁচ কার্যদিবস পযন্ত বন্দরের ইয়াডে কন্টেনার রাখার জন্য কোন ফি দিতে হয় না।এ সময়ের বেশি থাকলে প্রতিদিন ২০ ফুট দীর্ঘ কন্টেনারের জন্য ৬ ডলার বা প্রায় পাঁচশ টাকা হারে জরিমানা গুণতে হয়।এক সপ্তাহের বেশি হলে জরিমানার হার বাড়তে থাকে।

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সরকারের কাছে কন্টেনার খালাসে বিলম্বজনিত জরিমানা মওকুফের দাবি জানায়।এরপর তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন ইএবি নৌ পরিবহন মন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করে একই দাবি জানায়।এর পরিপ্রেক্ষিতেই চবক চলতি মাসের মাঝামাঝি জরিমানা মওকুফের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠায়।চলতি সপ্তাহে এতে সম্মতি দেয় মন্ত্রণালয়।