জাত বিচার করে সামাজিক মর্যাদা পাওয়া কারও কাম্য নয়: আবুল মকসুদ

Sayed_abul_moksudস্বাধীনতার ৪২ বছর পরেও আমরা জাতিগত বৈষম্য থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি। জাত বিচার করে সামাজিক মর্যাদা পাওয়া কারও কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট কলামিস্ট  সৈয়দ আবুল মকসুদ।

সোমবার বেলা ১২ টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোল টেবিল মিলনায়তনে বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অধিকার আন্দোলন বিডিইআরএম আয়োজিত দলিতদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও বঞ্চনা : শিক্ষা, কর্মসংস্থান, বাসস্তান,পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা বাড়াতে করনীয় র্শীষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

আবুল মকসুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অঙ্গীকার ছিল জাতি,ধর্ম, বর্ণ নির্বশেষে সকলের অধিকার সমান হবে। কিন্তু স্বাধীনতার ৪২ বছর পরেও দলিতরা শিক্ষা,বাসস্থান সহ নানা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত।’

দেশের দলিত জনগোষ্ঠী তাদের অধিকার আদায়ে একদিন ধর্মঘট ডাকলে ঢাকা শহর বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করলেন কলামিস্ট মকসুদ।

এ সময় তিনি সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী ইশতিহারে দলিতদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে অঙ্গীকার রাখার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।

বিশেষ অথিতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সদস্য বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘বাংলাদেশের ১৬ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ৬৫ লাখ দলিত জনগোষ্ঠীর মানুষ আছে। মুক্তিযুদ্ধে তারা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিল । তাদের অনেকেই নির্যাতিত হয়েছে এবং মারা গেছে। কিন্তু তাদের সমঅধিকার আজও সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়নি।’

এ সময় বক্তারা আরও জানান, বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সবার জন্য অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো বাংলাদেশের সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে শিক্ষা বিস্তারে নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও দলিত সমাজের প্রতি বহুবিধ সামাজিক বঞ্চনা ও বৈষম্যের কারণে তারা শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছে।

বিডিইআরএম’র সভাপতি মুকুল সিকদার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্তিত ছিলেন- বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত নারী ফেডারেশনের সভাপতি মনি রানী দাস, বিডিইআরএম প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ভীমপল্লী ডেভিড রাজু ও এবিএম আনিসুজ্জামান প্রমূখ।

জেইউ/