
২৪ ডিসেম্বর মতিঝিলে হেফাজতের সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত হেফাজত এক হয়ে কাজ করছে। নির্বাচন বানচাল ও অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য বিএনপি হেফাজতকে ব্যবহার করছে।
রোববার দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ে মহানগর ১৪ দলের এক যৌথ সভায় এ সব কথা বলেন তিনি।
কামরুল বলেন, তরুণ প্রজন্ম ৭১ এর ভয়বহ চিত্র দেখেনি। কিন্তু বর্তমান বিএনপি জামায়াতের ধ্বংসাত্মক তাণ্ডব এ প্রজন্ম দেখে সেই সময়কার চিত্র অনুভব করতে পারছে। এর আগেও হেফাজতের সমাবেশে নাশকতা মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে। আমরা তাদেরকে কোনোভাবেই সমাবেশ করতে দেব না।
সেদিন আওয়ামী লীগ বিশাল সমাবেশ করবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের সমাবেশের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি বন্ধ করার জন্য আমরা সমাবেশ করব।
এ সমাবেশ সফল করতে স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তিকে আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ৭১ এ জিয়া আইএসআইয়ের এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে প্রবেশ করেছিল। তার ধারাবাহিকতায় খালেদা তাদের কাছ থেকে মাসোয়ারা নিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সুষ্টি করছে। ক্ষমতায় এসে তারা রাজাকারদের মন্ত্রী বানাচ্ছে। তারা আবার দেশে নাশকতা সৃষ্টি করে দেশে একটি ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টি করেছে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোনোভাবেই বানচাল করা যাবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, সাংবিধানিক ধারা বহাল রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সঠিক পথেই হাঁটছেন। কিন্তু খালেদা জিয়া জঙ্গিদের নিয়ে নাশকতা করে যাচ্ছেন। কোনো ষড়যন্ত্র ও নাশকতা করে নির্বাচন বানচাল করা যাবে না। আগামি ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হবেই।
এ সময় দেশের সকল জনগণকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে থেকে নির্বাচন সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান তিনি।
এ সময় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ২৪ ডিসেম্বর সমাবেশের নামে হেফাজত কোনো নাশকতা করা চেষ্টা করলে জীবন দিয়ে হলেও আমরা তা প্রতিহত করব। তাদের নাশকতা ঠেকানোর জন্য আমরা পাল্টা সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছি। আমরা ২৪ ডিসেম্বর সমাবেশ করব।
আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুকুল চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, দপ্তর সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মিলন, প্রচার সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এআর