পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে পাকিস্তান হাইকমিশন অভিমুখে এগিয়ে যাচ্ছে গণজাগরণ মঞ্চের শত শত নেতা কর্মী। বুধবার বেলা ৩টার দিকে গুলশান-২ নম্বরে তাহের টাওয়ারের সামনে মিছিলটি আটকে দেওয়া হলে তারা পুলিশের ব্যরিকেড ভেঙ্গে এগিয়ে যায়। পাকিস্তানবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে ওই এলাকা মুখরিত করে তোলেন মঞ্চের হাজারো কর্মী।
এ সময় বেশির ভাগের হাতে ছিলে ‘পাকিস্তান ডোন্ট ট্রাই টু সেভ ইওর ডগস’, ‘পাকিস্তান গো টু হেল’ প্রভৃতি স্লোগান লেখা প্লাকার্ড।
যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতায় বাংলাদেশের বিষয়ে ‘নাক গলানোয়’ মঙ্গলবার দেশটির দূতাবাস অভিমুখে মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে গণজাগরণ মঞ্চ।
১৯৭১ সালে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে নতুন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে বাংলাদেশের। যুদ্ধকালীন গণহত্যায় পাকিস্তানি বহিনীর দোসর হিসেবে যারা ছিলেন, তাদের অন্যতম কাদের মোল্লা। বিচারের রায়ে মৃত্যুদণ্ড হলে গত বৃহস্পতিবার তা কার্যকর করার পর পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামী সেদেশে রাজপথে বিক্ষোভ করে। এরপর সোমবার ‘ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তানের’ একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডে উদ্বেগ জানিয়ে দেশটির পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব পাস হয়।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজা হলে তার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের সূচনা হয়। ওই আন্দোলনের মুখে আপিলের চূড়ান্ত রায়ে মৃত্যুদণ্ড হয় এই জামায়াত নেতার, যে দণ্ড বৃহস্পতিবার কার্যকর হয়।