পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিভিও পেট্রো ক্যামিকেল,মডার্ন ডায়িং ও রহিমা ফুড লিমিটেডকে জেড ক্যাটাগরিতে নামিয়ে দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ (ডিএসই)।নানাভাবে সতর্ক করার পরও অত্যন্ত দুর্বল মৌলের এ সব কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকায় মঙ্গলবার ডিএসই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।আগামিকাল বুধবার থেকে সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
কোম্পানি তিনটির মধ্যে সিভিও পেট্রো ক্যামিকেল ও রহিমা ফুড লিমিটেড এ ক্যাটাগরি, মডার্ন ডাইয়িং বি ক্যাটাগরীভূক্ত।আরও কয়েকটি কোম্পানির লেনদেন ডিএসই কর্তৃপক্ষ পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানা গেছে।এদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
সিভিও: অস্বাভাবিক হারে দর বৃদ্ধির কারণে গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত দীর্ঘ ৫২ কার্যদিবস বা ২ মাস ১৮ দিন বন্ধ থাকার পর কোম্পানিটি শেয়ার আবারও ১৫ ডিসেম্বর লেনদেন শুরু হয়। আজকে দিনের লেনদেন শেষে সিভিও প্রেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারির শেয়ারের দাম বেড়েছে সাত দশমিক আট শতাংশ বা ৬২ টাকা ৪০ পয়সা।
ডিএসই সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের মে মাসে কারখানায় নতুন রিফাইনারী প্ল্যান্ট প্রতিস্থাপনজনিত কারণে পাইলট প্ল্যান্ট বন্ধ থাকে। এ জন্য ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ সমাপ্ত সময়ে কোন টার্নওভার হয়নি।
রহিমা ফুড: আজকের লেনদেনে রহিমা ফুডের শেয়ারের দাম বেড়েছে নয় দশমিক ৯২ শতাংশ বা আট টাকা ৩০ পয়সা।
ডিএসই সূত্রে জানা যায়, কোম্পানিটির অস্বাভাবিক লেনদেনের কারণে দুই মাস লেনদেন বন্ধ রাখে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। ৩০ সেপ্টেম্বর লেনদেন বন্ধ হওয়ার পর ২১ নভেম্বর আবারও শেয়ার লেনদেন শুরু হয়।
গত ৯ অক্টোবর ডিএসইর একটি প্রতিনিধি দল রহিমা ফুডের কারখানা পরিদর্শন করে। প্রতিনিধি দল কারখানা উৎপাদন বন্ধ দেখতে পায়। পরে প্রতিনিধি দল প্রতিবেন দেয়।
এছাড়াও কোম্পানির বর্তমান লোকসান প্রায় ১১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি টাকা। তবে কোনও কারণ ছাড়াই কোম্পানির দর বাড়ছে অস্বাভাবিক হারে।
অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির কর-পরবর্তী লোকসান হয়েছে ৩২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। তবে আগের বছরের একই সময়ে কর-পরবর্তী মুনাফা হয় ৩৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এ সময়ে এর শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৬ পয়সা, তবে আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয় ১৭ পয়সা।
তবে আজকে মডার্ন ডাইংয়ের শেয়ারের দাম কমেছে পাঁচ দশমিক চার শতাংশ বা পাঁচ টাকা।
নতুন সিদ্ধান্তের ফলে এখন থেকে কোম্পানিগুলোর শেয়ারের লেনদেন টি+৩ এর পরিবর্তে টি+৯ অনুসারে নিষ্পত্তি হবে।টি+৩ অনুসারে শেয়ার লেনদেনের চতুর্থ দিনে তার নিষ্পত্তি হয়।অর্থাৎ একজন বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রির চতুর্থ দিনে তার টাকা বুঝে পান।একইভাবে কেউ শেয়ার কিনলে তিনি ওই শেয়ার বুঝে পান চতুর্থ দিনের মাথায়।টি-৯ এর ক্ষেত্রে টাকা বা শেয়ার বুঝে পেতে হয় ১০ম কর্মদিবসে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে,আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত যারা কোম্পানি তিনটির শেয়ার কেনা-বেচা করেছেন তাদের লেনদেনের নিষ্পত্তি টি+৩ অনুসারেই হবে।
ডিএসই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,কোম্পানি তিনটির উৎপাদন কার্যক্রম ছয় মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ আছে।তাই স্যাটলমেন্ট অব স্টক এক্সচেঞ্জ ট্রানজেকশনস রেগুলেশন,১৯৯৮ এর ৪ ধারা অনুযায়ী এদেরকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এমআরবি/জিইউ