অবরোধে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়, বিপাকে যাত্রীরা

Oborodh_Shidule-Biporjoy_Dominicসিলেটের ফেরদাউস আহমেদ বাক্কু গত রোববার সকালে ঢাকাতে এসেছিলেন ব্যবসার কাজে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। সোমবার টানা ৭২ ঘণ্টার অবরোধের ঘোষণা আসায় টিকেট বাতিল করতে হয়েছে তাকে। সকাল ৭ টায় জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ধরার জন্য ভোর সাড়ে ৫টায় এসে বসে আছেন কমলাপুর স্টেশনে। তবে কখন জয়ন্তিকার দেখা মিলবে এটা জানেন না তিনি।

১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা ৭২ ঘণ্টার অবরোধে আবারও শিডিউল বিপর্যয়ের কবলে পড়েছে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। সকাল থেকে কমলাপুর স্টেশন হতে এই পর্যন্ত ৮টি ট্রেন ছেড়ে গেলেও নির্দিষ্ট সময়ে ছেড়ে যেতে পারিনি কোনোটি। আবার সময় মতো আসতে পারেনি কিছু ট্রেন। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা।

ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলি এক্সপ্রেস, তুরাগ, তিস্তা, কিশোরগঞ্জ কমিউটার, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, ১১ সিন্দুর এবং মায়মনসিংহের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া দুইটি ট্রেন।

কমলাপুর স্টেশন মাস্টার সাখাওয়াত হোসেন জানান, খুলনার সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ছয়টায়, রংপুর এক্সপ্রেস সোয়া ছয়টা, মহানগর প্রভাতী ছয়টা ৩৫ মিনিটে স্টেশনে পৌঁছানোর কথা থাকলেও এখনও আসেনি। তবে হরতাল অবরোধে ট্রেন স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ধীর গতিতে চলছে বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, হরতাল অবরোধে ট্রেনের গতি থাকে ঘন্টায় ৩০ কিলোমিটার। যা অন্য সময়ে চলতে ৬৫ থেকে ৭০ কিলোমিটার। তাছাড়া হরতাল-অবরোধে যাত্রীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন না ছাড়তে পারার কারণে অনেকে টিকেট বাতিল করেন। এখন নিরাপত্তার বিষয়টাও জরুরি হয়ে পড়েছে। তবে বিভিন্ন স্থানে ট্রেনের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

স্টেশনের ব্যবস্থাপক খায়রুল বশির জানান, একটু দেরিতে হলেও আজ ট্রেন সবই যাত্রা করেছে। রাস্তাঘাটের নিরাপত্তাজনিত কারণে ট্রেনগুলো দেরিতে আসছে।

এতো ভোগান্তির মাঝেও টিকেটের দাম বেশি করে নিচ্ছে বলে দাবি করেন যাত্রীরা। অগ্নিবীণার যাত্রী আশরাফুল আলম জানান, ৯টা ৪০ মিনিটে ট্রেন এখন বেলা ১২টা বাজলেও আসেনি। এতে প্রতিটি কেটে ২০ টাকা বাড়িয়ে নিয়েছে।