শিশু কাঁদলে কোলে তুলে নেওয়াটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে আমাদের দেশের বাবা-মা এবং পরিবারের মানুষদের কাছে এ নিয়ে তাদের মনে কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু শিশু নানা কারণে কাঁদতে পারে। কাঁদলে শিশুকে কোলে তুলে নিতে হবে। চলুন এ ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নিই–
(১) যে কোনো শিশুই চিৎকার করে কেঁদে তার ভূমিষ্ঠ হওয়ার খবর জানিয়ে দেয়। তারপরও কারণে-অকারণে ওরা কাঁদে। এই সুন্দর ভুবনের সাথে মানিয়ে নিতে ওদের যেমন কিছুটা সময় লাগে তেমনই নতুন মা-বাবারও লাগে খানিকটা সময় সব কিছু গুছিয়ে নিতে। যা খুবই স্বাভাবিক।
(২) মাঝে মাঝে শিশুরা চিৎকার করে ওঠে। বিশেষ করে কাছাকাছি অনেকক্ষণ কোনো শব্দ শুনতে না পেলে অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই হয়ত তখন কাঁদে তারা। মজার ব্যাপার হলো ওই মুহূর্তে কেউ কাছে গিয়ে কথা বললে বা কোলে তুলে নিলে সাথে সাথেই শিশুদের কান্না থেমে যায়।
(৩) ডাক্তাররা জানালেন অনেক সময় ক্ষুধা, শরীর খারাপ, ক্লান্তি ইত্যাদির কারণেও শিশু কাঁদে। যারা নতুন মা-বাবা তারা অনেক সময় শিশুর এ কান্নার কারণ বুঝতে পারেন না। এ সময় শিশুটি কি খেতে চায় নাকি আদর চায়? আসলে শরীরের উষ্ণতা পেলে শিশুরা সবকিছুই ভুলে যায়। যদি না বড় কোনো শারীরিক কষ্ট থেকে থাকে। তাদের পরামর্শ, পিতা-মাতা হলে অনেককিছুই বাদ দিতে হয়, তাই বাইরে গেলে শিশুকে কোলে করে সঙ্গে নেবার চেষ্টা করবেন যাতে শিশুটি শরীরের উষ্ণতা পায়।
(৪) শিশুরা মায়ের শরীরের উষ্ণতা কম পেলে কাঁদতে পারে। ডাক্তাররা মনে করেন, যেসব বাচ্চারা বিছানায় বেশি সময় থাকে তাদের রাতে কান্নাকাটি করার এটাও কারণ হতে পারে।
আমাদের দেশে অধিকাংশ সন্তানই জন্মের পর থেকেই কোলে কোলে থাকে। নতুন মা সারাক্ষণই তার শিশুটিকে নিয়ে ব্যস্ত আর সেই শিশু সর্বক্ষণই পেয়ে থাকে মায়ের শরীরের উষ্ণতা। শিশুকে কোলে নেওয়ার জন্য বাবা-মা ছাড়াও আত্মীয়স্বজন থাকেন। বাচ্চা কাঁদুক আর নাই কাঁদুক, বাচ্চাকে শুধু দেখাশোনা করার জন্য প্রয়োজনে আলাদা লোক রাখতে হবে। তাই শিশুর কাছাকাছি থাকুন, শিশুকে সময় দিন, কোলে তুলে নিন। অল্প কিছুদিন পরেই দেখবেন, শিশু শুধু কাঁদেই না, বরং খুব শীঘ্রই তারা হাসতে শিখবে। আর হাসাবে মা-বাবাকেও । সুত্র: ডিডব্লিউ।
শাহিন রহমান