
দেশের চলমান অস্থিতীশীল রাজনীতির প্রতিবাদে সারা দেশে একযুগে পালিত হয়েছে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদবন্ধন কর্মসূচি। আর এর নেতৃত্ব দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)। এ উপলক্ষে রোববার মতিঝিলের এফবিসিসিআই ভবনের সামনে সংগঠনের সাবেক সভাপতি ও সহ-সভাপতিসহ সাবেক ও বর্তমান পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ। সভায় এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতিরা বক্তব্য রাখেন।
এখানে সাবেক নেতাদের কয়েকজনের বক্তব্য তুলে ধরা হলো-
সাবেক সভাপতি আনিসুল হক বলেন, বর্তমানে এদেশের রাজনীতিবিদরা রাজনীতি ছেড়ে মরণনীতির পথ বেছে নিয়েছে। তিনি বলেন, দেশের আর্থনীতির উন্নয়নে যাদের কাজ করার কথা তারা আজ অর্থনীতি ধ্বংসের জন্য মেতে উঠেছেন। রাজনীতিবিদদের কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, আজ আমরা এ কেমন বাংলাদেশ দেখছি? যেখানে কোনো মানুষ নিরাপদ নয়। ৫৪ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশে আজ সবাই কারারুদ্ধ। আবেগের সঙ্গে তিনি বলেন, মালি তার বাগানে ফুল ফুটাতে চায়, মা তার শিশুকে নিরাপদে কোলে তুলতে চায়। আমরা এমন একটি দেশ চাই।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা রাস্তায় নয়, দোকানে থাকতে চায়। চারিদিকে লাশের মিছিল। এদেশে প্রতি পাঁচ বছর পর পর ইতিহাস বদলায়। এতে করে এক পক্ষ আরেক পক্ষের কথা শুনতে পারে না । এভাবে ধ্বংস হচ্ছে দেশের অর্থনীতি।
তিনি আরও বলেন, নব্বই সালে যারা স্বৈরাচারের ভূমিকায় ছিল। এখন গণতন্ত্রের রক্ষায় তাদের কদমবুচিতে ব্যস্ত রাজনৈতিক এসব নেতারা।
তিনি আরও বলেন, আমরা রাতের বেলায় যখন টকশো দেখি। তখন মনে হয় এটা বাংলাদেশ নাকি সোমালিয়া। ইরান নাকি ইরাক। লিবিয়া নাকি আফগানিস্তান।
সাবেক সভাপতি মীর নাছির বলেন, মানুষ শান্তিতে থাকতে চায়। ব্যবসায়ীরা নিরাপদে ব্যবসা করতে চায়। তাই বর্তমানে যে ফ্রেমে নির্বাচন হচ্ছে তা বন্ধ করে দিয়ে দেশের শান্তির জন্য নির্বাচন দিন। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করুন। দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের পথে না নিয়ে উন্নয়নের জন্য কারার আহ্বান জানান তিনি।
সাবেক সভাপতি একে আজাদ বলেন, আজকের কর্মসূচির পরেও যদি কোনো সমাধানে পৌঁছানো না হয় তাহলে দুই নেত্রীর বাসভবনের সামনে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি দেওয়া হবে। দুই দলকে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধান খোঁজার জন্যও তিনি আহ্বান করেন।
সাবেক সভাপতি সালমান এফ রহমান দেশের চলমান রাজনৈতিক নৈরাজ্যকর অবস্থার অবসান ঘটনানোর জন্য রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানান। সেই সাথে তারা অপারগ হলে নেতৃত্ব ব্যবসায়ীদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
জিইউ