ইরাকে বন্দি ১৬ বাঙ্গালীকে ফেরত আনার আহ্বান

ইরাকে কারাবন্দি ১৬ জন বাঙ্গালীকে ফিরিয়ে আনতে ও প্রতারণার সাথে জড়িত  রিক্রুটিং এজেন্সিকে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন-২০১২ এর অধীনে বিচারের দাবি জানিয়েছে অনির্বাণ সারভাইভার ভয়েসের (শিসউক) নেতারা ।

শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইরাক ফেরত মো. জাকির হোসেন বলেন, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারী ও মার্চের বিভিন্ন সময়ে চারটি রিক্রুটিং এজেন্সি-মেসার্স মর্নিং সান এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স মেঘনা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লি., মেসার্স ইস্ট বেঙ্গল ওভারসীজ, মেসার্স আইডিয়া ইন্টারন্যাশনাল লি. এবং একটি বেসরকারী সংস্থা বাংলাদেশ মাইগ্রেন্ট ফাউন্ডেশন (বিএমএফ) তাদের সহযোগীদের সাথে মিলে মাসিক বেতন ৩৫০ ইউএস ডলার ও ভালো চাকুরীর মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণামূলকভাবে ২৭ জন বাংলাদেশীকে বিদেশে পাঠায়। তখন আমাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩-৪ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল।

সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ভুয়া কাগজপত্র ও ক্লিয়ারেন্স দিয়ে তারা আমাদের ইরাকে নিয়ে আটকিয়ে রাখে। কোন প্রতিবাদ করলে আমাদের মারধর করত। এ ব্যাপারে ইরাকে বাংলাদেশী হাই কমিশনের সাথে যোগাযোগ করি। তারা আমাদের বলেছেন এজেন্সিগুলোকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

এজেন্সিগুলো যথাসময়ে আমাদের বকেয়া পরিশোধ করবে বলেও বাংলাদেশী হাই কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

জাকির জানান, পাচারকারীরা এ পর্যন্ত মোট ১১ জন বাংলাদেশীকে ফেরত পাঠিয়েছে। কিন্তু বাকি ১৬ জন এখনও ইরাকে বন্দি আছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য কামনা করে চারটি দাবি উত্থাপন করেন ইরাক ফেরত জাকির।

দাবিগুলো হলো ইরাকে বন্দীদের মুক্ত করে চুক্তি অনুযায়ী বকেয়া বেতনসহ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, অভিযুক্ত রিক্রুটিং এজেন্সি ও তাদের সহযোগীদের বর্তমান মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন-২০১২ এর অধিনে বিচার ও শাস্তি প্রদান, ইরাকে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ভিসা সত্যায়িত ছাড়া বিএমইটির ছাড়পত্র গ্রহণের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা এবং বিদেশে লোক পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া এবং এখন পর্যন্ত এই কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ মাইগ্রেন্ট ফাউণ্ডেশন (বিএমএফ) এর বিচার চাই।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মো: জিল্লুর রহমান, প্রোগ্রাম অফিসার আলামিন নয়ন, ইরাক ফেরত মো: শাহীন প্রমুখ।

জেইউ/