মানসিক বিকাশের জন্য মাধ্যম হিসেবে সুস্থ চলচ্চিত্রের জুড়ি মেলা ভার। মানুষকে মোহিত করার মাধ্যমে জীবনবোধ গঠনের কঠিন কাজ করে থাকে এ ধারার চলচ্চিত্র। আর সুস্থ চলচ্চিত্রের দর্শক তৈরিতে নিরন্তর কাজ করে চলেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ। ১৯৬২ সালে সংগঠনটির পথচলা শুরু হয় সায়েন্স সিনে ক্লাব নামে।
‘সুস্থ চলচ্চিত্র, সুস্থ দর্শক’ এ মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে সংগঠনটি ক্যাম্পাসে নিয়মিত চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করে থাকে। এর নানা কর্মসূচির মধ্যে সবচেয়ে প্রশংসিত হলো আমার ভাষার চলচ্চিত্র উৎসব। এখানে কয়েকদিনব্যাপী এপার-ওপার বাংলার আলোচিত চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
‘ফিল্ম ফর ফ্রেশার্স’ এই ব্যানারের আওতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া নবীন শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে চলচ্চিত্র দেখিয়ে থাকে সংগঠনটি। জার্মানীর গ্যেটে ইন্সটিটিউটের সহযোগিতায় প্রতি বছর টিএসসিতে ‘সান্ডে জার্মান মুভি নাইট’ শিরোনামে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করে থাকে এটি। এখানে জার্মান স্বল্পদৈর্ঘ্য মুভির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ নির্মাতাদের স্বল্পদৈর্ঘ্য মুভি প্রদর্শনীর সুযোগও রাখা হয়।
২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর কিংবা ২১ ফেব্রুয়ারির মতো বিশেষ বিশেষ দিবসেও সংগঠনটি নানা কর্মসূচি হাতে নিয়ে থাকে। এর মধ্যে সভা-সেমিনারের পাশাপাশি বিশ্বের ধ্রুপদী চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর জন্য আয়োজন করা হয় ‘ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ম্যানিফেস্টো প্রোগ্রাম’। এছাড়া, চলচ্চিত্রের খুঁটিনাটি সম্পর্কে জানাতে ক্যাম্পাসে নিয়মিত আয়োজন করা হয় পাঠচক্রের।
সংগঠনটির কার্যকরী সদস্য সোহেল মোহাম্মদ রানা বলেন, আমাদের সংগঠন নিজ খরচে প্রায়ই দুর্যোগ প্রস্তুতি বিষয়ক চলচ্চিত প্রদর্শনী ও বন্যা পীড়িত মানুষের জন্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী করে থাকে। যেমন, ২০০৭ এ অপরাজিত নামে একটি চলচিত্র প্রদর্শনী আমরা করেছিলাম। এখানে দুর্যোগ ও তার প্রতিকার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, নারী নেতৃত্বে এই সংগঠনের রয়েছে বলিষ্ট ভূমিকা। এখানে দপ্তর-সম্পাদক থেকে শুরু করে কার্যকরী সদস্যদের অনেকেই নারী। নিয়মিত অফিসে বসা, দাপ্তরিক কর্মকান্ড দেখাশোনা, টিএসসি কিংবা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় মুভি প্রদর্শনী-প্রচারণা নানা কাজ তারা দক্ষতার সাথে করে থাকেন।