মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন চলতে পারে কি না, এ ব্যাপারে আজ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি শুরু হয়েছে।
গতকাল বুধবারও এ বিষয়ে শুনানি হয়।
প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ আজ সকাল সোয়া নয়টার দিকে শুনানি শুরু করেন।
একই বেঞ্চে গতকাল সকাল ১০টার দিকে শুনানি শুরু হয়। মাঝখানে এক ঘণ্টার বিরতি দিয়ে বেলা একটা পর্যন্ত শুনানি চলে।
আর এই শুনানির ওপরই নির্ভর করছে কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কখন কীভাবে বাস্তবায়ন হবে।
আসামিপক্ষের আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন মঙ্গলবার রাতে এক আকস্মিক আদেশে এই জামায়াত নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত স্থগিত করে দেন।
এর ঘণ্টা তিনেক আগে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু ও আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করে কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
তিনি জানান বুধবার প্রথম প্রহরেই (রাত ১২টা ১ মিনিট)মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। পরিবারের সদস্যরাও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে কাদের মোল্লার সঙ্গে দেখা করে যায়।
কারা কর্তৃপক্ষও ছিল প্রস্তুত। কিন্তু কারাগারে চূড়ান্ত প্রস্তুতির মধ্যেই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাদের মোল্লার আইনজীবী ব্যারিস্টার রাজ্জাক চেম্বার বিচারপতির বাড়ি থেকে বেরিয়ে বলেন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত স্থগিত রাখার আদেশ পেয়েছেন তারা।
রাত পৌনে ১১টার দিকে কাদের মোল্লার প্রধান আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাককে দেখা যায় কারাফটকে। তিনি কারা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে ফিরে সাংবাদিকদের বলেন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর সকাল ১০টা পর্যন্ত স্থগিত রাখতে চেম্বার বিচারপতির আদেশ কারা কর্মকর্তাদের জানিয়ে এসেছেন তারা।
এরপরই ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি ঝুলে যায়। ঘোষিত সময় ১২টা ১ মিনিট পেরিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে এসে জ্যেষ্ঠ জেল সুপার ফরমান আলী সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের আদেশে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর স্থগিত রাখা হয়েছে।