
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ আছে ৮ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আজ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক ফরমান আলী এ তথ্য জানিয়েছেন।
ফরমান আলী বলেন, যেদিন ওয়ারেন্ট পেয়েছি, সেদিন থেকে সাত দিন কার্যকর হবে। ৮ তারিখ থেকে কাউন্ট ডাউন, সাত দিন। এখন শুধু সরকারের নির্দেশের অপেক্ষায় আছি।
জেল সুপার বলেন, কাদের মোল্লার ৭৯০ পৃষ্ঠার রায় পুরোটা পড়ে শোনানোর দরকার নেই। তাকে সংক্ষেপে রায় পড়ে শোনানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করার বিষয়ে কাদের মোল্লার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান ফরমান আলী। তবে কাদের মোল্লা এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো মতামত জানান নি বলে তিনি দাবি করেন।
কাদের মোল্লার দুই আইনজীবী জানান, কেন্দ্রীয় কারাগারে কাদের মোল্লা শারীরিক ও মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। কেন্দ্রীয় কারাগারে কাদের মোল্লার সঙ্গে দেখা করার পর তার দুই আইনজীবী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আজ সকাল সোয়া ১০টার দিকে কাদের মোল্লার দুই আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক ও তাজুল ইসলাম ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেন। তারা কাদের মোল্লার সঙ্গে কথা বলে ৫০ মিনিট পর বেলা ১১টা পাঁচ মিনিটের দিকে বের হয়ে যান।
এ সময় আবদুর রাজ্জাক বলেন, যত দ্রুত সম্ভব রিভিউ আবেদন করা হবে। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করছেন কাদের মোল্লা। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদনের সময়সীমা গতকাল ৯ ডিসেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দাবি করেন রাজ্জাক।
উল্লেখ্য, এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। গত রোববার আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মৃত্যুপরোয়ানা জারি করা হয়েছে।