মজবুত বন্ধনের জন্য চার বিষয়কে না

relationমানুষ স্বয়ম্ভূ না; স্বয়ংসম্পূর্ণও না। তার কারো না কারো মাঝে নিজের আশ্রয় খুঁজে নিতে হয়। শৈশবে এই আশ্রয় হলো বাবা-মা, যৌবনে স্বামী/স্ত্রী আর শেষ বয়সে সন্তান-সন্ততী। মানুষের জীবন প্রতিনিয়ত এমন আশ্রয় অনুসন্ধানের মধ্য দিয়েই অতিবাহিত হয়। কিন্তু খুব তুচ্ছ কিছু ভুলের জন্য মানুষকে তার আশ্রয় হারাতে হয়। বিশেষ করে বিবাহিত জীবনে ছোট ছোট ভুল থেকে বিবাহ বিচ্ছেদের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়।

 

হাফিংটন পোস্টের মতে, নিয়মিত স্রেফ ধন্যবাদ না দেওয়ার মতো খুব তুচ্চ কিছু ব্যাপার বিবাহ বিচ্ছেদের মতো ঘটনার সূত্রপাত করতে পারে। তাই দৈনন্দিন জীবনের যে কাজগুলোর জন্য আপনার দাম্পত্য পার্টনার প্রশংসা পাওয়ার দাবি রাখে সে সব ক্ষেত্রে তার প্রশংসা করা, নিদেনপক্ষে ধন্যবাদ জানানোটা খুবই জরুরি।

একইভাবে যখন কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে দুজনের মধ্যে বাগ-বিতণ্ডা শুরু হয় তখন বাদানুবাদ যাতে ঐ নির্দিষ্ট বিষয়ের বাহিরে না যায় যেদিকে দুজনের সতর্ক মনোযোগ রাখতে হবে। কোনভাবেই এক বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে অপরাপর বিষয় নিয়ে টানা-হেচড়া করা যাবে না।

উভয়েরই বিয়ের মতো বন্দনের প্রতি সমান শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। চূড়ান্তভাবে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আগে সাধারণ ঝগড়ায় ডিভোর্সকে টেনে আনা সমীচীন না।

পরস্পরকে সময় দেওয়ার ব্যাপারে দুজনেরই সমান আন্তরিক হতে হবে। পারলে খুটিঁনাটি কেনাকাটায়ও পরস্পরকে সঙ্গ দেওয়া উচিত।