তানোরে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে আলু ও সরিষার চাষ

potatoরাজশাহীর তানোরে চলতি রবি মৌসুমে আলু ও সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষক ও কোল্ডস্টোর মালিকরা। উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, গত বছর আলুতে লোকসান করা চাষিরা ঘুরে দাঁড়াতে এবারো লক্ষ্যমাত্রার প্রায় দ্বিগুণ জমিতে আলু চাষ করছে। পাশাপাশি রেকর্ড পরিমাণ জমিতে চাষ হচ্ছে সরিষা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।

কৃষকরা জানান, গত বছর আলু চাষে কৃষকদের ব্যাপক লোকসান হয়। এবার লোকসানের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ বছর আলু ও সরিষা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। তবে, সরিষা তুলে আবার বোরো ফসল আবাদ করা যায়। এ কারণে চাষিরা রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষার চাষ করেছেন। বর্তমানে ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় আলু চাষের জন্য ২৯৫০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হলেও লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এছাড়া ৩৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও প্রায় ২০০০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে।

জিওল গ্রামের আলু চাষি ওমর আলী, মহসিন আলী ও কৃষ্ণপুর গ্রামের আলু চাষি আব্দুর রাজ্জাকসহ ভদ্রখন্ড গ্রামের আলু চাষি আব্দুল বারী ও আতাউর রহমান জানান, তারা প্রত্যেকেই গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় দ্বিগুণ জমিতে আলু চাষ করেছেন। বর্তমানে ক্ষেতে পরিচর্যা চলছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।

অপরদিকে, উপজেলার আমশো গ্রামের কৃষক মুকশেদ আলী ও মুন্ডুমালা এলাকার সরিষা চাষি কাউন্সিলর আমির হোসেন আমিনসহ আরও অনেকে জানান, গত দুবছর থেকে ধানের চাষ করে লোকসানে পড়তে হয়। তাই এবার কৃষি বিভাগের পরামর্শে জমিতে সরিষার চাষ করেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলন হবে বলে তারা জানান।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. হাসানুল কবীর কামালী বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলের রুক্ষ লাল মাটিতে বোরো ধান চাষের পরিবর্তে এবার আলু ও সরিষার দিকে বেশি ঝুঁকে পড়েছেন চাষিরা। কৃষি বিভাগ চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছেন। আমরা আশা করছি এবার আলু ও সরিষার বাম্পার ফলন হবে।

এসইউ/এআর