
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, সংকট সমাধান না হলে দেশে রক্তের বন্যা বইবে। শনিবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শনে এসে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এদিকে ভোররাত ৪টায় ডিবি পুলিশ নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ব্যাপক ভাংচুর ও দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে আটকের পর থেকে বিএনপি অফিসে কোনো নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিলনা।
খন্দকার মাহবুবের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের একটি পেশাজীবি দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শনে আসেন।
মাহবুব বলেন, ভয় দেখিয়ে, জোর করে যদি নির্বাচন করেন তবে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। আমরা সেটা চাইনা।আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি,আপনি দেশকে বাচান গণতন্ত্রকে বাচান নিজে বাচুন নতুবা দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। এদেশের মানুষ আপনার ইচ্ছা কোনদিনই মেনে নেবে না।
বিএনপির অফিস ভাংচুর ও দলের যুগ্ম মহাসচিব সহ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার গণতন্ত্রের প্রতি পদাঘাত এমন দাবি করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বিশেষ বাহিনী দিয়ে আজকে দেশের নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে পণ্ড করে দেওয়ার জন্য লেলিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ স্বৈরাচার দেখেছে, স্বৈরাচারের পতনও দেখেছে। শক্তির মহড়া দিয়ে, আইনশৃংখলা বাহিনী দিয়ে ক্ষমতায় চিরস্থায়ীভাবে থাকা যায় না।
তারা অলিখিতভাবে মিডিয়ার উপর সেন্সরশীপ করেছে সরকারের প্রতি এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, সভ্য সমাজে তারা গণতন্ত্রের লেবাস পরে এ ধরণের বর্বর ঘটনা আমরা একাত্তরেও দেখি নাই।আজকে দলের অফিসে এসে যা দেখলাম তার ভয়াবহ পরিণতি তাদেরকে ভোগ করতে হবে।
বিরোধী দলের একমাত্র দাবি মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা এমন উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি আমরা জানিয়েছিলাম। শেখ হাসিনা মাত্র একটি টেলিফোনের মাধ্যমে সংকট নিরসন করতে পারেন।
এসময় পেশাজীবি প্রতিনিধি দলের সাথে আরও ছিলেন, সানাউল হক, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, কবি আবদুল হাই শিকদার প্রমুখ।
এমআর/