সৌদিতে অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য আলাদা আদালত হচ্ছে

US_Italy_Saudi_MYসৌদিতে অভিবাসী শ্রমিকদের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ আদালত গঠনের পরিকল্পনা করেছে দেশটির সরকার। দ্রুততম সময়ে বিরোধ নিষ্পন্ন করা এবং অভিবাসীদের বিচার প্রাপ্তি সহজলভ্য করার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এশিয়ার বিভিন্ন দেশের উর্ধ্বতন কুটনীতিবিদরা সৌদি সরকারের এ পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
শ্রম মন্ত্রণালয় হাতাব আল আনাজী এক বিবৃবিতিতে জানিয়েছেন, বিচার মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই বিশেষ আদালত পরিচালিত হবে বলে।
তিনি আরো জানান, এর আগে সৌদি আরবে অবস্থানরত বিদেশি শ্রমিকদের জন্য দেওয়া বিশেষ ক্ষমার সাত মাসের সময়সীমা পার হওয়ার পর দেশজুড়ে শুরু হয় ‍পুলিশি অভিযান। অবৈধ শ্রমিকদের কাগজপত্র বৈধকরণে তিন মাসের সময়ও বেঁধে দেয় সরকার যা গত ৩ জুলাই শেষ হয়ে যায়। পরে তা ৩ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর তৃতীয় দফা সময় বাড়ানোর আবেদন নাকচ করে দেয় সৌদি সরকার। কিন্তু এতেও দেশটিতে বিতর্কিত শ্রমিক বিরোধ নিষ্পত্তি হয় নি। তাই দেশটিতে শ্রমিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য এ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। খবর আরব নিউজের।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শ্রমিকদের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো খুব অচিরেই শ্রম মন্ত্রণালয়ের থেকে এই বিশেষ আদালতে হস্তান্তর  করা হবে। এ আদালত গঠনের পর বিচার প্রক্রিয়ারও সংশোধন করা হবে। শ্রমিক সংশ্লিষ্ট সব ধরনের বিষয়ে তদন্ত আদালত। এ আদালত গঠনের ফলে শ্রমিকদের বিশেষ একটা শ্রেণী গোষ্ঠীর উপকার ভোগ করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন,এর আগে এ বিষয়টি দেখতো শ্রম মনত্রণালয় এর তদন্ত সঙস্থা।কিন্ত এখন থেকে এগুলো তদারকি করবে আইনও বিচার মন্ত্রণালয় । এর ফলে বিচার স্বচ্ছতা,নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ, দ্রুত বিচার কার্য সম্পন্ন হবে।
শ্রমমামলা  বিশেষঞ্জ  রিয়াদ ভিত্তিক সৌদি অ্যাটর্নি আবদুল্লাহ আল সালাফী বলেন, সৌদি বিচার ব্যবস্থায় প্রস্তাবিত এ শ্রম আদালত গঠন একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।
সৌদিতে নিয়োজিত বাঙলাদেশের রাষ্ট্রদূত জেনারেল নাজমুল ইসলাম, ভারতীয় রাষ্ট্রদূত জেনারেল ফায়েজ আহমেদ কিদওয়াই এবং পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত জেনারেল আফতাব আহমেদ খোকার এ শ্রম আদালত গঠনের পরিকল্পনার জন্য সৌদি সরকারকে পৃথকভাবে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আমরা আশা করব, দেশটি খুব তাড়াতাড়ি তাদের এ আদালতের কাজ শুরু করবে ।
বিশেষজ্ঞরা আরো জানান, খুব শীঘ্রই বিচার মন্ত্রনালয়ের এ বিশেষ আদালতের জন্য বিচারক নিযোগ করা হবে ।
তবে  অভিযুক্ত থাকা এসব অবৈধ শ্রমিকরা দেশটির শ্রম আদালত স্থাপনের এ সিন্ধান্তকে মেনে নিতে পারে নি, তারা দাবি করছেন, এ আদালতে সত্যিকার বিচারকের এবং বিচারকার্যর ঘাটতি দেখা দিবে ।
উল্লেখ্য, গত বছরে শ্রম মন্ত্রণালয় ৯৯৬০ টি মামলা হাতে নেয় । এদের মধ্যে স্বদেশী হচ্ছে ৪২৪৩ জন, বাকি ৫৭১৭জন  বিভিন্ন দেশের বাসিন্দা ।