

গত অর্থবছরের এই সময়ে ছিলো ১৬ কোটি ৯০ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবির) তথ্য অনুযায়ী ২০১২-১৩ অর্থবছরে কৃষিজাত পণ্যে রপ্তানি আয় ছিলো ৫৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।
চলতি অর্থবছরে এই রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৪ কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সবজি, ফল, ফুল, চা, শুকনো খাবার, মসলা ও তামাকজাত পণ্যসহ অন্যান্য খাদ্য দ্রবাদি মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। জুলাই থেকে অক্টোবর প্রান্তিকে সবজি রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে গেল বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪২ দশমিক ২৪ শতাংশ। যার পরিমাণ ৫ কোটি ৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার ২২ দশমিক ১১ শতাংশ বেশি। শুকনো খাবার রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে ২৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ। যার রপ্তানির পরিমাণ ১ কোটি ৪১ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার।
তবে ফল আর চা রপ্তানির পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। গত অর্থবছরে চা রপ্তানির পরিমাণ ছিলো ৯ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। তবে চলতি অর্থবছরে এর পরিমান কমে দাড়িয়েঁছে ৫ লাখ মার্কিন ডলারে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৫ দশমিক শুন্য পাঁচ শতাংশ কম। এদিকে অর্থবছরের একই সময়ে ফল রপ্তানির পরিমাণ ছিলো ১ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার। যা চলতি অর্থবছরের একই সময়ে এই পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৭৬ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলারে।
চা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশিও বাজারে চায়ের চাহিদা বেড়ে যাওয়া, চা বাগানের বয়স বৃদ্ধি, উৎপাদন কম হওয়া, চা চাষের জন্য ইজারা নেওয়া জমি অন্য খাতে ব্যবহার করা। তাছাড়া পুরনো জাতের চায়ের চাষ, আধুনিক পদ্ধতির ছোঁয়া না লাগাসহ বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ি করছেন তারা।
এদিকে ফল রপ্তানি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যে কাঁঠাল রপ্তানি বেশি হয়ে থাকে। তার পাশাপাশি আনারস লিচু, কামরাঙ্গা, কদবেল, আম, আমলকি লেবু, বরুইসহ নানা প্রকার ফল রপ্তানি হয়। তবে দেশে রপ্তানি মানের ফলের উৎপাদন কম হওয়া, মানসম্মত ও সাইজমতো ফল সংগ্রহ করতে না পারা, রপ্তানির ক্ষেত্রে বিমানসেবা জটিলতা, সঠিক সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকাকে দায়ি করছেন তারা। তারা মনে করছেন সমস্যাগুলো সমাধান কল্পে সরকারি সহযোগিতার দরকার।