
রাজনৈতিক সংকটাপূর্ণ পরিস্থিতিতে দেশে চলমান বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে পুলিশ বাহিনী ব্যতীত অন্য কোনও বাহিনীর প্রয়োজন আছে কি না, তা নির্বাচন কমিশনই নির্ধারণ করবে বলে জানালেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বেনজীর আহমেদ।
বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডিএমপি কমিশনার বেনজির নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদের সাথে সাক্ষাত করেন।
দুই জনের ঘন্টাব্যপী আলোচনা শেষে বেলা পৌনে একটায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বেনজীর আহমেদ এসব কথা বলেন।
বেনজির বলেন, আমরা রুটিন মাফিক নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্রথমবারের মত বৈঠক করেছি। দেশের সব জায়গায় যে সহিংস ঘটনা ঘটে চলেছে সে সম্বন্ধে আমরা ওয়াকিবহাল। আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জানিয়েছি, দূর্বৃত্তরা যে ধরণের সহিংসতাই চালাক না কেন তা প্রতিরোধে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। সব ধরণের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে আমাদের সম্ভাব্য কৌশলগুলো সম্পর্কে তাকে জানিয়েছি।
দেশের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি বিশৃংখল হয়ে পড়ছে। চলমান বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে পুলিশ সমর্থ, নাকি অন্য বাহিনীর প্রয়োজন আছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে বেনজীর বলেন, ‘আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা সবসময়ের মত এখনও বদ্ধপরিকর। বর্তমান সময়ের বিশৃংখল পরিস্থিতি প্রতিরোধে অন্য বাহিনীর প্রয়োজন আছে কি না, সেটা নির্ধারণ করবে ইসি। তবে নির্বাচনে সহিংসতা প্রতিরোধে ও নিরাপত্তা রক্ষায় আমরা শতভাগ কঠোর অবস্থানে আছি।’
ইসির সাথে আর কোনও প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তফসিলের পর আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত চাহিদা জানাবে ইসি। যেহেতু নির্বাচন কমিশন কার্যালয় ডিএমপির ভেতরে, সেজন্য আমরা জানতে চেয়েছি তাদের কোনো সহযোগিতার দরকার আছে কি না। এসব বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে।অন্য কোনো প্রসঙ্গে নয়।
এমআর/