bondor
bondorঅবরোধ ও হরতালে সারা দেশের সাথে চট্টগ্রামের রেল ও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার বন্দর নগরী থেকে কোন বাস বা ট্রেন কোথাও যায় নি। কোনো বাস বা ট্রেন আসেও নি। শহরটি কার্যত সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এদিকে নগরীতে হরতালের সমর্থনে মিছিলের চেষ্টা করলে বিএনপির আট নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।

তফসিল ঘোষণার পর ১৮ দল ৪৮ ঘন্টা সড়ক,রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।এদিকে সন্দ্বীপে সাংসদপুত্র গুলিবিদ্ধ হওয়ায় মঙ্গলবার চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় বিএনপি।

সন্ধ্যা ছয়টার পর্যন্ত নগরীর কোথাও কোন নাশকতার খবর পাওয়া যায়নি।তবে দূর পাল্লার কোন বাস চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি।

১৮ দলীয় ডাকা অবরোধে নগরীর সব প্রবেশপথ কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে গেছে। ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিটি গেট এবং চট্টগ্রাম কক্সবাজার এলাকার বাকলিয়া থানার কর্ণফূলী সেতু এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে ১৮ দলীয় নেতাকর্মীরা মিছিল সমাবেশ করে।এতে বন্দরনগরীর সাথে সড়ক পথে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে সোমবার রাতে কসবা উপজেলা রেল লাইলের এতটি অংশ তুলে নিলে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে আসে।ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে আসা গোধূলী, সুবর্ণা,তূর্ণা এবং সিলেট থেকে উদয়ন এক্সপ্রেস চট্টগ্রামে এসে পৌছাতে পারেনি। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি মহানগর প্রভাতি,সুবর্ণ এক্সপ্রেস এবং সিলেটের উদ্দেশ্যে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়নি।

চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য উঠা-নামা করলেও যানচলাচল না করায় দূর পাল্লার কোন ট্রাক ছেড়ে যায়নি।এতিকে বিমান চলাচল স্বাভাবিক ছিল বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মুনজুর মোর্শেদ বলেন,চট্টগ্রাম মহানগরীর কোথাও নাশকতার খরব পাওয়া যায়নি। নগরীতে যানচলাচল কম থাকায় যাত্রীদের কিছুটা দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।