শত কোটি টাকার বাড়ি চার কোটিতে বিক্রির চেষ্টা ভেস্তে গেল

rajukআওয়ামী লীগ সরকারের আগের মেয়াদে শত কোটি টাকার একটি বাড়ি মাত্র চার কোটি টাকায় বিক্রি করে দিয়েছিল রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।  গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাড়িটি বিক্রি করা হয়েছিল। বিএনপি সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাড়িটির বরাদ্দ বাতিল করা হলেও সরকারের শেষ মেয়াদে আবার তা কথিত ক্রেতাকে বুঝিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে পূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি অসাধু চক্র। তবে শেষ পযন্ত তা মন্ত্রণালয়ই আটকে দিয়েছে। আর এটি হয়েছে মন্ত্রণালয়ের নতুন মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ দায়িত্ব নেওয়ার পর।

মঙ্গলবার শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন। মতিঝিলে শিল্পমন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি এ কথা বলেন। তিনি সংবাদিকদেরকে বাড়ি বিক্রি স্থগিতের চিঠি দেখান।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, আমি যতদিন আছি এই মন্ত্রণালয়ে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক কাজ করে যেতে চাই। এ জন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই।

মন্ত্রী জানান, বাড়ির বরাদ্দ স্থগিতের মূল উদ্যোগটি নেন মন্ত্রণালয়ের সচিব শওকত হোসেন। তার নির্দেশনায় সোমবার জরুরি ভিত্তিতে একটি নোটিশ জারি হয়। মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আকবর হোসেন এই নির্দেশনা জারি করে। এতে উল্লেখ করা হয় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত লিজ দলিল সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।

উল্লেখ, ধানমন্ডি ২ নম্বর সড়কের ১৪৫/এ (নতুন-৩৩) নম্বরের বাড়িটির আয়তন ২০ দশমিক ৩০ কাঠা। প্রায় ১০০ কোটি টাকা দামের এ বাড়ি মাত্র ৩ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছিল রাজউক। সেটি ২০০০ সালের ঘটনা। তৎকালীন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রীর নিদেশে রাজউক ক্রেতাকে বাড়িটি বুঝিয়েও দিয়েছিল। পরে বিএনপি সরকার দায়িত্ব নিলে তৎকালীন পূর্তমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বাড়িটির বিক্রি বাতিল করা হয়। তবে ক্রেতা প্রতিষ্ঠান মেট্রো সার্ভিসে জমাকৃত টাকা তুলে নেয়নি। বরং তারা সুযোগের সন্ধানে ছিল। সরকারের শেষ সময়ে এসে তারা গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করতে সক্ষম হয়। তারা বাড়িটির বিক্রি বাতিলের সিদ্ধান্ত গোপন রেখে মন্ত্রীর কাছে ফাইল উপস্থাপন করলে তিনি প্রক্রিয়া শুরু করতে রাজউককে নিদেশ দেন। এ প্রক্রিয়া চলমান অবস্থায় নতুন মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তা বাতিল হয়ে যায়।