অবরোধে সারাদেশে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা

Oborodh১৮ দলের টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট, ব্রাক্ষণবাড়িয়া, ময়মনসিংহ, লালমনিরহাটসহ দেশের বিভিন্ন রুটে ২৩টি রেল আটকা পড়ায় রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে দেশের পূর্বাঞ্চলেই আটকা পড়েছে ১০ হাজার যাত্রী। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ।

ব্রাক্ষণবাড়িয়ার ইমামবাড়ি ও চকচন্দ্রপুর মাঠ এলাকায় রেল লাইন উপড়ে ফেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া ব্রাহ্মবাড়িয়ায় আটকে থাকা চট্টলা এক্সপ্রেসের একটি বগিতে আগুন দিলে রেল চলাচল বন্ধ থাকে।

রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক কমলাপুর স্টেশন পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের জানান, রেলে নাশকতা ঠেকাতে র‌্যাব ও পুলিশ বাহিনীকে সব সময় প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে আর কোনো রকম নাশকতা চালাতে না পারে।

নাশকতাকারীরা সারা দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন  জায়গায় চোরা-গুপ্তা হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার জানান সকাল থেকে  বেলা ২টা পর্যন্ত ৩টা ট্রেন বাতিল হয়েছে। ৬টা ট্রেন কমলাপুর স্টেশনে আসেনি ও ১০ ট্রেন স্টেশন ছেড়ে গেছে বলে দাবি করেন তিনি।

জানা যায়, মহানগর প্রভাতী, কর্ণফুলি, কুমিলা ডেমো, ঢাকা মেইল, মহুয়া এক্সপ্রেস কমলাপুরে আসেনি। তাছাড়া চট্টলা,

সুবর্ণা, মহানগর গোধুলী এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে।

খবর নিয়ে জানা য়ায়, রাজশাহীর সারদা রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন দিয়েছে অবরোধ সমর্থকরা।ময়মনসিংহের শ্যামগঞ্জ রেলস্টেশনে রেল লাইনের ফিসপ্লেট খুলে ফেলায় ভোর পাঁচটার দিকে ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জগামী হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে নেত্রকোনা থেকে ময়মনসিংহের ট্রেন যোগাযোগ বিচ্ছ্ন্নি হয়ে পরে।

এদিকে সান্তাহার-বোনারপাড়া লাইনের বগুড়া নসরৎপুরে ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল করে দিয়েছে দুবৃর্ত্তরা।

লালমনিরহাটের মহেন্দ্রনগরে ও পাটগ্রাম বুড়িমারী রেলপথে গাছের গুড়ি ফেলে  অবরোধ করে রাখে ১৮ দলীয় কর্মীরা। এ ছাড়া গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জের শালমাড়ায় রেল লাইনের ফিস প্লেটের পিন খুলে দিয়েছে অবরোধকারীরা।

সোমবার রাতে পাবনায় রেল স্টেশনে একটি ট্রেনে আগুন দিলে তিনটি বগি পুড়ে যায়। খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর ২টি ইউনিট, ঈশ্বরদী থানা ও রেলওয়ে থানা পুলিশ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এসএমএস/এআর