
সৌদি আরবে গত ৩ নভেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর থেকে চলছে অবৈধ শ্রমিক বিরোধী সাঁড়াশি অভিযান।ট্রেন,বাস,মার্কেট,শিল্প-কারখানা-যেখানেই অবৈধ অভিবাসী পাওয়া যাচ্ছে সেখান থেকেই আটক করা হচ্ছে।এ অভিযান থেকে বাদ পড়ছে না স্কুল ও হাসপাতালের মত জায়গাও।এমন অবস্থায় পরিদর্কদের নজর এড়াতে অনেক অভিবাসী সৌদি আরবের স্থানীয় পোশাক পরতে শুরু করেছে।চেষ্টা করছে পোশাকের আড়াতে ঢাকতে তাদের আসল পরিচয়।খবর আরব নিউজের।
পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে,মদিনায় ব্যবহৃত বা সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ি কেনা-বেচায় যুক্ত অনেক অভিবাসী।তারা মূলত বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করে।এদের একটি বড় অংশই অবৈধ।তাদের কোনো বৈধ অনুমতিপত্র নেই।আগে এরা প্যান্ট-শার্ট বা পাশ্চাত্য ধাচের পোশাক পড়তো।কিন্তু এখন আরবের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পড়ছে।ঢোলা পায়জামা আর গোড়ালি পর্যন্ত নেমে আসা পাঞ্জাবি তাদের জন্য ঠিক মানানসই নয়।এ পোশাকে হয়তো সারাক্ষণ অস্বস্তিতেও থাকতে হয়। কিন্ত তারপরও একেই নিত্যদিনের পোশাক হিসেবে বেছে নিয়েছে তারা।এর কারণটাও বেশ স্পষ্ট।তারা হয়তো চাইছে দূর থেকে যাতে স্বরাষ্ট্র ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের পরিদর্কদের নজর তাদের উপর না পড়ে।
অবৈধ অভিবাসীদের এ ছদ্মবেশ ধারণের বিষয়টি স্থানীয় অনেকেরই নজরে এসেছে। তারা বিষয়টি নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ। তারা মনে করেন, এসব অবৈধ অভিবাসীর জন্য স্থানীয়রা কাজ পাচ্ছে না। খলিল আহমাদ নামের স্থানীয় এক যুবক এ বিষয়ে বলেন, পরিদর্শক দলের উচিত এসব জায়গায় জোরালো অনুসন্ধান চালানো।