মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ ভাগ শেয়ারের দাম বেড়েছে। কমেছে ২০ ভাগের দাম। এ দিন ডিএসইএক্স সূচক ১০১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান ৪ হাজার ৩৮১ পয়েন্টে উঠে এসেছে। মূলত ব্যাংক, ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও জ্বালানি খাতের শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির উপর ভর করে সূচকের এত বড় উল্লম্ফন হয়েছে। ডিএসইতে প্রায় শতভাগ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে,দুটি বিষয় লেনদেন ও সূচক বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। প্রথমত কয়েকদিনের টানা উর্ধমুখী ধারায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা কিছুটা বেড়েছে। চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিরোধী দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বৈঠকের খবরে বিনিয়োগকারীদের মনে একটু আশার সঞ্চার হয়েছে। এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে সংকট উত্তরণের একটা পথ বের হয়ে আসতে পারে বলে অনেকে আশা করছেন। এসবের প্রভাবে বাজার বেশ তেজী হয়ে উঠে। অন্যদিকে টানা উর্ধমুখী ধারায় মার্জিন ঋণ আছে এমন হিসাবগুলোতে বিনিয়োগকারীর পুঁজি বা ইক্যুইটি কিছুটা বেড়েছে। ফলে তারা আগের চেয়ে শেয়ার বেচা-কেনায় বেশি সক্রিয় হতে পারছেন। তাতে লেনদেন বাড়ছে।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক ২৯৩ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৫৫৮ পয়েন্ট দাঁড়ায়। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে মোট ২২৪ টি কোম্পানির শেযারের। এর মধ্যে দর বাড়ে ১৬২ টির কমে ৪৩ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯ টি কোম্পানির শেয়ার।
এমআরবি/