

বিশ্লেষকদের মতে, দর পতনে একেবারে তলানিতে নেমে এসেছিল ব্যাংকিং খাতের শেয়ার। ফলে ঘুরে দাঁড়ানোর অন্তর্নিহিত শক্তি সঞ্চিত হচ্ছিল এ খাতের শেয়ারে। অন্যদিকে সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে বাজারকে স্বাভাবিক দেখাতে চাচ্ছে। এ চাওয়া পূরণ করতে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং খাতের শেয়ারের দাম বাড়িয়ে মূল্য সূচককে উর্ধমুখী রাখার চেষ্টা করছে। এমন খবরে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকছে এ খাতের শেয়ারে। যদিও ব্যাংকিং খাতের সব সূচকই এখন নিম্নমুখী। এমন অবস্থায় এ খাতের শেয়ারের চাহিদা ও দামের এ উল্লম্ফণ খুব বেশি স্বাভাবিক নয়।
গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)মোট লেনদেনে ব্যাংকিং খাতের অংশ ছিল ২৫ শতাংশ। ডিএসইত মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৩৭১ কোটি টাকা। এ সময়ে ব্যাংকিং খাতে ৫৯২ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়।
১৯ শতাংশ লেনদেন করে বস্ত্র খাত দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করে নেয়। এছাড়া জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত ১০ শতাংশ লেনদেন করেছে।ওষুধ খাত ৭ শতাংশ এবং এনবিএফআই ৬ শতাংশ লেনদেন করেছে।
এর বাইরে ভ্রমণ এবং অবসর ৩ শতাংশ,টেলিযোগাযোগ খাতে ৩ শতাংশ ট্যানারি খাতে ১ শতাংশ সেবা ও আবাসন খাতে ১ শতাংশ মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ৪ শতাংশ আইটি খাতে ১ শতাংশ,জীবন বীমা খাতে ৩ শতাংশ এবং সাধারণ বীমা খাতে ৩ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ২ শতাংশ,সিরামিক খাতে ১ শতাংশ এবং সিমেন্ট খাতে ২ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।
ত সপ্তাহে। কমে ৩ ক্যাটাগরির শেয়ারের কেনা-বেচা। লেনদেন বৃদ্ধিতে শীর্ষ তিন খাতে ছিল ভ্রমণ, ব্যাংক ও জীবন বিমা। আর লেনদেন কমে যাওয়া খাত তিনটি হচ্ছে সিমেন্ট, টেলিকম ও ট্যানারি।
এমআরবি/