
আজ রোববার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) শেয়ার লেনদেন নিষ্পত্তির সময়সীমা একদিন কমছে। আজ থেকে টি প্লাস থ্রি ফর্মুলার পরিবর্তে টি প্লাস টু-এর ভিত্তিতে লেনদেন নিষ্পন্ন হবে। অর্থাৎ শেয়ার কেনা বা বেচার তৃতীয় দিনে তা নিষ্পন্ন হয়ে যাবে। এতদিন এটি চতুর্থ দিনে নিষ্পত্তি হতো।
তবে শুধু এ, বি, জি ও এন ক্যাটাগরির শেয়ারে এটি প্রযোজ্য হবে। জেড ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেন আগের নিয়মেই চলবে।
নতুন নিয়মে কারণে একদিন আগেই শেয়ার বা চেক পাবেন সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারী। ধরা যাক আজ রোববার কেউ শেয়ার কিনেছেন। আগের নিয়মে তার হিসাবে শেয়ার জমা হওয়া তথা ওই শেয়ার বিক্রির উপযোগী হতে বুধবার পর্যন্ত সময় লাগতো। কিন্তু নতুন নিয়মে তিনি মঙ্গলবার ওই শেয়ার পেয়ে যাবেন। একইভাবে কেউ শেয়ার বিক্রি করলে চতুর্থ দিনের পরিবর্তে তৃতীয় দিনে ব্রোকারহাউজ থেকে চেক পাবেন তিনি।
তবে সিএসইতে চালু হলেও দেশের সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন স্টক এক্সচেঞ্জ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এখনও টি প্লাস থ্রিতেই থাকছে। নিজেদের মধ্যে মতভিন্নতা থাকায় এখনই এ স্টক এক্সচেঞ্জে টি প্লাস টু চালু হচ্ছে না। তবে আগামি বছরের গোড়ার দিকে এ স্টক এক্সচেঞ্জেও তা চালু হতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসইর একজন নীতি নির্ধারক অর্থসূচককে বলেন, একটি এক্সচেঞ্জে কম সময়ে লেনদেন করার সুযোগ পেলে বিনিয়োগকারীরা ধীরে ধীরে সেদিকেই ঝুঁকতে পারে। তাই নিজেদের ব্যবসা ধরে রাখতেই ডিএসইকে সিএসইর পথ অনুসরণ করতে হবে।উল্লেখ, ২০১০ সালে শুরু হওয়া ধসের পর পুঁজিবাজারে লেনদেনের পরিমাণ একেবারে কমে যায়। এমন অবস্থায় লেনদেনে গতি ফেরাতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আবেদন জনায়। একই বছরের ১৮ অক্টোবর বিএসইসি এ ব্যাপারে সম্মতি দেয়।
নতুন সময় সীমা কার্যকর করতে ইতিমধ্যে লেনদেন নিষ্পত্তি বিধিমালা সংশোধন করা হয়। এছাড়া ব্রোকারহাউজগুলো বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্কে (বিইএফটিএন) যোগ দেয়।